প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতেই তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে চিকিৎসক দলের সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে।’
গতকাল বিকেল পৌনে ৬টায় গুলশানের বাসভবন থেকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে দেখার পর হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত দেন। প্রথমে কেবিনে রাখা হলেও রোববার তাকে নেওয়া হয় সিসিইউতে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন রোববার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ম্যাডাম এখন সিসিইউতে আছেন। সেখানেই তার চিকিৎসা ও পরীক্ষাগুলো হচ্ছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক রয়েছে। সেখানে উনার সর্বশেষ অবস্থা ও পরীক্ষার ফলগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
৭৬ বছর বয়েসি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এর আগে ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ২৫ অক্টোবর তার ছোট একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর করা হয় বায়োপসি।
টানা প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে হাসপাতাল ছাড়েন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে তিনি গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে তার করোনা মুক্তির খবর দেওয়া হয় ৯ মে। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়। এর ১৬ দিন পর বাসায় ফেরেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে কারাগারে যান। মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছর শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।