৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১১:৪৭

খালিশপুর শপিং কমপ্লেক্সের তালাবদ্ধ ৩০ টি দোকান খুলে দিলো ছাত্ররা

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক :

পাটকল শ্রমিক নেতাদের তিন বছর আগে জোর করে বন্ধ করে দিয়েছিলেন খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের মডেল শপিং কমপ্লেক্সের ২৭টি দোকান।
তিন বছর পর সেই দোকানগুলো খুলে দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা।
আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার ছাত্ররা মার্কেটের তালাগুলো খুলে দেন। দোকানের তালা খুলে দেয়ার পর আনন্দে কেদে ফেলেন অনেক ব্যবসায়ী।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে পাটকল শ্রমিক লীগের নেতারা জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়া। এরপর ব্যবসায়ীরা উচ্চ আদালতের স্মরনাপন্ন হলে সে সময় আদালত দোকানগুলো এক মাসের মধ্যে খুলে দেয়ার জন্য খুলনার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিলেও আ’লীগ নেতাদের চাপের মুখে তা খোলা হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ আগস্ট বিচারপতি কে এম কামরুল কাদির ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী বেঞ্চ রিট পিটিশনের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
রিট পিটিশনে ৬ জনকে বিবাদী করা হয়। এর মধ্যে ২নং বিবাদী হলেন জেলা প্রশাসক। তাকেই আদালত বাদীগণের দোকানগুলো যারা অবৈধভাবে জোরপূর্বক বে আইনীভাবে মূল ফটকে তালা লাগিয়েছে তা খুলে দিয়ে বাদীগণের নিকট শান্তিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে সোহেল মাহমুদ পলাশ হাই কোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং-৮৯৫৯/২২।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, গত ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে শ্রমিক নেতা মুরাদ হোসেন ও হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল শ্রমিক নেতা তাদের মডেল শপিং কমপ্লেক্সের গেট তালা দিয়ে দেয়। এমন কি তালা যাতে না খুলতে পারে এ জন্য সিলগালা করা হয়। অনেক দপ্তরে এ ব্যাপারে ছুটাছুটি করলেও তালা খোলার কোন ব্যবস্থা হয়নি। এতে করে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবশেষে ছাত্ররা এসে বৃহস্পতিবার তাদের দোকান খুলে দেয়ায় তারা চিরকৃতজ্ঞ বলে জানান।
অপর ব্যবসায়ী ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম সজল বলেন, নগরীর খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের মডেল শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী তারা। এ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরণের ৩০টি দোকান রয়েছে তাদের। দীর্ঘ দিন ধরে তারা দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। বিজেএমসি সব জুট মিল বন্ধ করে দেয়। এরপর পাটকল শ্রমিক সংগঠন দ্বারা পরিচালিত খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শ্রমিক নেতা শাহানা, হুমায়ুন, মুরাদসহ কতিপয় ব্যক্তি এসে দোকান ঘরের জামানত ও ভাড়া অতিরিক্ত দাবি করে এবং বিরক্ত করতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। এমন কি মাকের্টের জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা থাকায় তারা দোকান ঘরের ভাড়া আদালতে জমা দিয়ে যাচ্ছেন। এরপর চক্রটি ক্ষুব্দ হয়ে মার্কেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। অনেক চেষ্টা করে দীর্গ তিন বছরেও তালা খুলতে পারিনি। এতে তাদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ছাত্ররা এসে তালা খুলে দেয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন