২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,ভোর ৫:৩৫

শিরোনাম
খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২

কুল্যা-দরগাহপুর সড়ক এলাকাবাসীর দুর্ভোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

লিংকন আসলাম, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কে ঠিকাদারের গাফিলতিতে চরম দুর্গতিতে পড়েছে পথচারী ও এলাকার মানুষ। খুলনার মেসার্স এসআর ট্রেডার্স সড়কের কাজটি পায়। কাজ শুরুর পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হলে এলাকার মানুষ ফুসে ওঠে। তখন ঠিকাদার নিজেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ভাইপো পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাতে থাকেন। কখনো অস্ত্র দেখানো, কখনো প্রকাশ্য হুমকী ও চুড়ান্ত আস্ফালন করে রাম-রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করেন। ফলে ভয়ে এলাকার মানুষ দূরে থাক প্রশাসন পর্যন্ত থমকে যেতে দেখা গেছে।

যার ফলশ্রুতিতে ইচ্ছেমত কাজ চলেছে সড়কে। দু’বছর আগে সড়কের কাজ শুরুর পর মাঝপথে এসে এক প্রকার বন্ধ হয়ে আছে। সড়কের গুনাকরকাটি ব্রীজ হতে গুনাকরকাটি বাজার পর্যন্ত, কাদাকাটি বাজার হতে কাদাকাটি পুরনো বাজার এবং শৈলমারী হতে ধাপুয়া ব্রীজ পর্যন্ত সড়কে ম্যাকাডম করে ফেলে রাখা হয়। ফলে ধুলা বালির গুড়া উড়ে এলাকা একাকার হয়ে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচলের সময় ছোট যানবাহনের যাত্রী, পথচারী এবং সড়কের পাশের দোকানপাট, বসতবাড়ি, স্কুল-মাদ্রাসা ধুলায় ভরে যাচ্ছে। পাশের পুকুরের পানি ধুলায় একাকার হয়ে যাওয়ায় ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে উঠছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বছির আহমেদ টুকু জানান, গত দু’বছর রাস্তায় কোন কাজ হয়নি। ঠিকাদার ৫ আগস্টের পূর্বে হুমকী ও শক্তি প্রদর্শন করে পার পেয়ে এসেছেন। এখনো কাজ করা হচ্ছেনা। মানুষের শান্তিতে বসবাস ও পথ চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম মালী ও চা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। এলাকায় বসবাস করা, রাস্তায় চলাচল করা কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে।

আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য কুমার দেব জানান, কাজের জন্য ঠিকাদারকে বারবার বলা হচ্ছে, করবো করবো বলেও কাজ করা হচ্ছেনা। বলার পর কয়েকজন শ্রমিক পাঠালেও কয়েকদিন পর তাদের পাওয়া যায়না। বিষয়টি নিয়ে আমি এক্সেন স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব বলে তিনি জানান।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন