প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২১
তথ্য ডস্কেঃ দুই ভাই। নাম তাদের রাজা-বাদশা। নাম শুনলে সবাই আগেকার যুগের রাজা বাদশার কথাই ভাববেন। কিন্তু না, কুরবানি উপলক্ষে আদর করে লালন-পালন করা বিশালাকার দুটি ষাঁড়ের নাম রাজা, বাদশা। ওজন আকৃতি ও সৌন্দার্যে তারা নজর কাড়ে সবার। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের দেখতে। দেশে এবার কুরবানির হাট মাতাবে তারা। তবে করোনাকালে ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাঁড় দুটির মালিক মোয়াজ্জেম মোল্লা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের গাছ কুলচারা গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম মোল্ল্যা। গত ৫ বছর ধরে গরু পালন করেন তিনি। নিজের গোয়ালের ফিরিজিয়ান জাতের একটি গাভীতে জন্ম নেয়া ষাঁড়ের বাচ্চা এখন দেশের সেরা বলেই ধারণা তার।
গরুর মালিক মোয়াজ্জেম মোল্ল্যা বলেন, আমার কোনো গরুর খামার নেই। আছে একটি গোয়াল ঘর। সেখানে মোট ৭ টি গরু আছে। ৫ বছর আগে প্রথমে ৭১ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফিরিজিয়ান জাতের গাভী গরু কিনি। তারপর থেকে আমার রাজা, বাদশা এবং উজির হয়েছে। এছাড়াও বকনা বাছুর হয়েছে। রাজা, বাদশা আগে হওয়ায় এবারের কুরবানির ঈদে তাদেরকে ছেড়ে দেব। আর উজিরকে আগামী বছর বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার গরুগুলোর সাধারণ খাবার যেমন চাল, ভুষি, ছোলা, ফেসাড়ি এ ধরনের খাবার খাইয়েছি। তাছাড়া অত্যন্ত আদর-যত্ন করে গরু পালছি। আমার রাজার আনুমানিক ওজন ৪০ থেকে ৫০ মণ এবং বাদশার ৩৫ থেকে ৪০ মণের হবে। আমি এবারের কোরবানিতে ন্যায্যমূল্যে তাদেরকে ছেড়ে দিতে চাই। আমার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নং-০১৯৯৪-২১৮০২৯ এবং ০১৭৯৫-৯৭১২৯০।
প্রাণী সম্পদ অফিসের দেয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫ টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮ টি ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় গত বছর কোরবানি দেয়া হয়েছে ১লাখ ১৯ হাজার ৪০২ টি।