প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২০
গণস্বাস্থ্যের কিট উপসর্গ নিয়ে আসা কোভিড-১৯ রোগীদের রোগ শনাক্তে উপযুক্ত নয়। এই কিটে মাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্ত সম্ভব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ কিট সহায়তা করবে বলেও তিনি মত দিয়েছেন।
এর আগে বিএসএমএমইউ সূত্রে বলা হয়েছিল, গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় গঠিত পারফরম্যান্স কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিটের ব্যাপারে তাদের অবস্থান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে।
বলে রাখা ভালো, ১৭ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘোষণা দেয়, নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম, এমন একটি টেস্টিং কিট তারা উদ্ভাবন করেছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কিট তৈরি করেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ। এর দু’দিন পর কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
কিট পরীক্ষা নিয়ে বেশ বিতর্কের পর ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআর,বিতে ওই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ২ মে সেই পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
এরই মাঝে, ২৬ মে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই টেস্ট কিটের ট্রায়ালের জন্য ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে ২৫ মে রাতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছিল সেই উদ্যোগ।