স্ত্রী, তিন পুত্র ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন এই গীতিকার। তাঁকে রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক এই গুণী মানুষটির জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ, পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে। বাবা মুহাম্মদ খোদা বক্স ও মা মোসাম্মৎ জয়নবুন্নেছার ঘরে জন্ম নেওয়া তাঁদের প্রথম সন্তান ফজল-এ-খোদা।
ফজল-এ-খোদার কর্মজীবন শুরু হয় বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে তিনি তালিকাভুক্ত হন। শিশুকিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা ফজল-এ-খোদা ‘মিতা ভাই’ নামেও পরিচিত।
তাঁর লেখা বহু গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এর মধ্যে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ মুক্তিযুদ্ধে সাত কোটি মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। ১৯৭১-এ অসহযোগ অন্দোলন চলাকালে তাঁর লেখা গণসংগীত ‘সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম চলবে, দিন রাত অবিরাম’ গানটি তৎকালীন টেলিভিশন প্রচার করে।
ফজল-এ-খোদার কালজয়ী অনেকগুলো গান এখনো মানুষকে আন্দোলিত করে। ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’ এমন অসংখ্য গানের রচয়িতা ফজল-এ-খোদার গানগুলো প্রয়াত বশীর আহমেদ, আবদুল জাব্বার, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, রথীন্দ্রনাথ রায়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের কণ্ঠে দর্শক শ্রোতাদের কাছে পৌঁছেছে।