২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ২:৪১

কপিলমুনিতে গলাকাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয়

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

জগদীশ দে, কপিলমুনি:

খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে তরমুজ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। একপ্রকার গলা কাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয় করছে তারা। তীব্র তাপদাহের সুযোগে ঝোপ বুঝে কোপ মারছে এসব ব্যবসায়ীরা। সকাল বেলা ২০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রয় করলেও দুপুরের প্রখর রোদ্র পেরিয়ে বিকাল আসতেই একই তরমুজ কেজিতে আরো ২০ টাকা বাড়িয়ে কেজি প্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। নিয়মিত বাজার মিনিটরিংয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে এলাকার সাধারণ নিন্ম আয়ের মানুষের পকেট কাটছে তারা। সম্প্রতি গরম মৌসুমে এসে তীব্র তাপদাহের কারণে মৌসুম ফল হিসেবে তরমুজের দিকে ঝুঁকছে সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতা সাধারণ বলছে, সম্প্রতি সময় এসে কপিলমুনি তরমুজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ক্ষেত থেকে তরমুজ পিচ হিসেবে কিনে তা বাজারে এনে কেজি দরে বিক্রয় করছে। মূলত পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কপিলমুনি বাজার মিনিটরিং ব্যবস্থা নাজুক থাকায় সুযোগের সৎ ব্যবহার করছে তারা। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বলছে, তরমুজ মৌসুমী ফল হলেও উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত হওয়া পর্যন্ত কৃষকের খরচ আগের তুলনায় দিগুণ হারে বেড়েছে। প্রথমে তরমুজ চাষীদের কাজ থেকে ক্ষেত ধরে কিনে শ্রমিক দিয়ে তা উত্তলোন করে প্রথমে ঘাটাল করতে হয়। এরপর পরিবহন যোগে আবারো শ্রমিক দিয়ে উঠিয়ে এনে বাজারজাত করে ক্রেতা সাধারণের কাছে বিক্রয় করা হয়। যে কারণে ক্ষেতের দর আর ক্রেতা বাজার মূল্যে ও লাভসহ ২০ টাকা করে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করে বিক্রয় করা হচ্ছে। শ্রমিক ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় তরমুজের বাজার মুল্যে তুলনামূলক একটু বেশি। সরেজমিনে কপিলমুনি বাজার ঘুরে দেখাগেছে, বাজারজাত একটি তরমুজের নূন্যতম ওজন ২ কেজি থেকে ৮/১০ কেজি। যাহা পিচ প্রতি মুল্যে আসছে ৮০ থেকে ৪০০ শত টাকা পর্যন্ত। কিন্ত কৃষকদের ক্ষেত পর্যায়ে পিচ প্রতি মুল্যে রয়েছে ১০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সবমিলিয়ে বলাযায় তরমুজ ক্ষেতের পিচ মুল্যে থেকে পিচ প্রতি বাজার মুল্যে দিগুণ থেকে তিনগুণ। সিজেনারী মৌসুমী ফল হিসেবে প্রখর রৌদ্র ও তীব্রতাপদাহের কারণে তাই তরমুজের কদর বেড়েছে ক্রেতা সাধারণ পর্যায়ে। এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহেরা নাজনীন বলেন, তরমুজ পিচ হিসেবে কিনে ক্রেতা পর্যায়ে কেজি দরে বিক্রয় করা যাবেনা। যদি কোন তরমুজ ব্যবসায়ী এমনটি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন