প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩
তথ্য ডেস্ক:মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটে নেমেছেন ইসরায়েলের চিকিৎসকরা। ইসরায়েলের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এই ধর্মঘট পালনের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও জেরুজালেম সংঘর্ষবিক্ষুব্ধ এলাকা হওয়ার কারণে সেখানে ধর্মঘট হচ্ছে না।ইসরায়েলে বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বিতর্কিত বিল নিয়ে গণবিক্ষোভের মধ্যেই পার্লামেন্টে তা পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টর-ডানপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও বাড়ছে।সরকারের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাওয়া ঠেকাতে এই ধর্মঘট করা দরকার ছিল বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান।ইসরায়েলের পত্রপত্রিকাগুলোর প্রথম পাতাতেও সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। প্রধান পত্রিকাগুলো প্রথম পাতায় ‘ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন’ শিরোনামে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সোমবার পার্লামেন্টে সংস্কার বিল পাস হওয়ার সময়ও ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন ইসরায়েলিরা। এ পরিস্থিতির মধ্যে পার্লামেন্ট নেসেটেও আইনপ্রণেতারা ওয়াকআউট করেন। তারপরও বিচারবিভাগ সংস্কার বিল নেসেটে ৬৪-০ ভোটে পাস হয়।বিলটি আইনে পরিণত হওয়ায় এতে কমছে আদালতের ক্ষমতা। এতোদিন সরকারের নেওয়া কোনও পদক্ষেপ অযৌক্তিক মনে করলে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট তা নাকচ করতে পারত। কিন্ত নতুন আইনের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের সে ক্ষমতা আর থাকবে না।কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে একনায়কতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে নেতানিয়াহু বলছেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে আদালতের ক্ষমতা খর্ব হয়ে সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে ভারসাম্য ফিরে আসবে।এবার সংস্কার বিল পাসের পর বিক্ষোভকারী নেতারা বলছেন, সরকার অবস্থান না বদলালে সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সেনারাও আর ডিউটিতে যাবে না। ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রস্তুতিও ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির সাবেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।যুক্তরাজ্য ইসরায়েলকে আদালতের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং মতৈক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।গত বছর ডিসেম্বরে ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থি জোট সরকার গঠিত হওয়ার পর এবছরের জানুয়ারিতে বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার ঘোষণা করা হয়। তখন থেকেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে।