১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,বিকাল ৩:২৪

শিরোনাম
মারধরের মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টী সত্যানন্দ দত্ত নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু

আজ সিনোফার্ম, কাল মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২১

  • শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস রোধে আজ সোমবার থেকে দেশের জেলা, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালগুলোতে কোভ্যাক্সের মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন,  ইতি মধ্যেই সারাদেশের টিকা কেন্দ্রগুলোতে সিনোফার্মের টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর শনিবার রাতেই সিটি কর্পোরেশনের ভেতরের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মডার্নার টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, কাল সারাদেশে সিনোফার্ম এবং পরশু মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, ফাইজারের যে এক লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিলাম, সেগুলো দিয়ে আমরা চারটি মেডিকেল কলেজ এবং তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালসহ ঢাকার মোট সাতটি কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু করেছি। এই সাতটি হাসপাতালে এখন ফাইজারের টিকার কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে তারপর এসব কেন্দ্রে মডার্নার টিকা কার্যক্রম চালু হবে।

প্রবাসীদের টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীদের শুধুমাত্র ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন থেকে সারা দেশের যেকোনো মেডিকেল কলেজ থেকেই তারা টিকা নিতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনা করেন। তাদের টিকা এখনই প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

এদিকে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে। আর তাতে করে বিপদে পড়তে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ শঙ্কা প্রকাশ করে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, বর্তমান ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে মৃত্যু শুধু বয়স্ক মানুষের হচ্ছে না, তরুণদেরও হচ্ছে।

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, গত মাসে সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। গত মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে প্রায় এক লাখ রোগীকে সংক্রমিত হতে দেখতে পেয়েছি। আমরা যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর চাপ যদি বাড়তেই থাকে, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা আর খালি থাকবে না।

তিনি বলেন, সারা দেশে গত মাসেও অসংখ্য বেড এবং আইসিইউ খালি ছিল। সেই খালি বেডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে মাত্র ৩০০ এর মতো কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড খালি আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়ে যাবে। সংক্রমণের হার এভাবে চলতে থাকলে এক দিনে ১৫ হাজার শনাক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না। আর তাতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সবাইকে বিপদে পড়তে হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন