করোনাভাইরাস রোধে আজ সোমবার থেকে দেশের জেলা, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সিটি কর্পোরেশনের হাসপাতালগুলোতে কোভ্যাক্সের মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইতি মধ্যেই সারাদেশের টিকা কেন্দ্রগুলোতে সিনোফার্মের টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর শনিবার রাতেই সিটি কর্পোরেশনের ভেতরের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মডার্নার টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, কাল সারাদেশে সিনোফার্ম এবং পরশু মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, ফাইজারের যে এক লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিলাম, সেগুলো দিয়ে আমরা চারটি মেডিকেল কলেজ এবং তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালসহ ঢাকার মোট সাতটি কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু করেছি। এই সাতটি হাসপাতালে এখন ফাইজারের টিকার কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে তারপর এসব কেন্দ্রে মডার্নার টিকা কার্যক্রম চালু হবে।
প্রবাসীদের টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীদের শুধুমাত্র ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন থেকে সারা দেশের যেকোনো মেডিকেল কলেজ থেকেই তারা টিকা নিতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনা করেন। তাদের টিকা এখনই প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
এদিকে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি করুণ হয়ে যাবে। আর তাতে করে বিপদে পড়তে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ শঙ্কা প্রকাশ করে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, বর্তমান ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে মৃত্যু শুধু বয়স্ক মানুষের হচ্ছে না, তরুণদেরও হচ্ছে।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, গত মাসে সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। গত মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনে প্রায় এক লাখ রোগীকে সংক্রমিত হতে দেখতে পেয়েছি। আমরা যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর চাপ যদি বাড়তেই থাকে, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা আর খালি থাকবে না।
তিনি বলেন, সারা দেশে গত মাসেও অসংখ্য বেড এবং আইসিইউ খালি ছিল। সেই খালি বেডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে মাত্র ৩০০ এর মতো কোভিড-১৯ আইসিইউ বেড খালি আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়ে যাবে। সংক্রমণের হার এভাবে চলতে থাকলে এক দিনে ১৫ হাজার শনাক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না। আর তাতে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সবাইকে বিপদে পড়তে হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত