২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সকাল ৬:৪৯

সৌরজগতের বাইরের গ্রহ থেকে এই প্রথম রেডিয়ো তরঙ্গের সন্ধান পেয়েছে পৃথিবী!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১

  • শেয়ার করুন

লুকিয়ে থাকা গ্রহ খুঁজে বের করার পদ্ধতির মাধ্যমে সেখানে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল কি না, অতীতে ছিল কি না বা বর্তমানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না- সে ব্যাপারে অনুমান করা সম্ভব।
সৌরজগতের বাইরের গ্রহ থেকে এই প্রথম রেডিয়ো তরঙ্গের সন্ধান পেয়েছে পৃথিবী!
ছবি প্রতীকী।
বড়সড় আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি তাঁরা এমন নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন, যারা রেডিয়ো তরঙ্গের বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। আর এই রেডিয়ো তরঙ্গের মাধ্যমে ওই নক্ষত্র তার আশপাশে লুকিয়ে থাকা গ্রহদের অস্তিত্বের ইঙ্গিত দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত রেডিয়ো তরঙ্গ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিয়ো অ্যান্টেনা Low-Frequency Array (LOFAR)- এর মধ্যে ধরা পড়েছে। নেদারল্যান্ডে রয়েছে এই শক্তিশালী রেডিয়ো অ্যান্টেনা।

এই ধরনের লুকিয়ে থাকা গ্রহ খুঁজে বের করার পদ্ধতির মাধ্যমে সেখানে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল কি না, অতীতে ছিল কি না বা বর্তমানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না- সে ব্যাপারে অনুমান করা সম্ভব। মূলত পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না সেটাই সৌরজগতের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত সিগন্যালগুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঞ্জামিন পোপ এবং ডাচ ন্যাশনাল অবজারভেটরিতে ASTRON- এ থাকা তাঁর সহকর্মীরা। জানা গিয়েছে, এরা সকলেই LOFAR রেডিয়ো অ্যান্টেনার মাধ্যমে লুকিয়ে থাকা গ্রহদের খোঁজ করছেন।
১৯টি ডিসট্যান্ট রেড ডুয়ার্ফ বা দূরত্বে থাকা লাল বামন নক্ষত্র থেকে এইসব রেডিয়ো তরঙ্গ সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারটি নক্ষত্র আবার তাদের আশপাশের প্রদক্ষিণকারী গ্রহের অবস্থান দ্বারা সবচেয়ে ভালভাবে ব্যাখ্যা করা গিয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, আমাদের সৌরজগতের গ্রহরা যে শক্তিশালী রেডিয়ো তরঙ্গে বিচ্ছুরণ করে তা সকলেরই জানা। এইসব গ্রহের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে যখন সোলার উইন্ডের সঙ্গে ধাক্কা খায়, তখন এই রেডিয়ো তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। কিন্তু আমাদের সৌরজগতের বাইরেও যে অন্যান্য নক্ষত্র রেডিয়ো তরঙ্গ বিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের আশপাশে থাকা গ্রহের অস্তিত্বের জানান দেয়, সেকথা অনেকেরই জানা ছিল না।

এর আগে অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে কেবলমাত্র কাছাকাছি থাকা নক্ষত্র থেকে স্থির রেডিয়ো তরঙ্গ সনাক্ত করতে পারতেন। সেই সময় radio sky- এর বাকি অংশকে interstellar gas অথবা ব্ল্যাক হোল বলা হত। তবে বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রেডিয়ো তরঙ্গে সনাক্ত করার জন্য সাধারণ পুরনো নক্ষত্রদের উপরেও মনোনিবেশ করতে পারছেন। যে লাল বামন নক্ষত্রদের উপর জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দল রেডিয়ো তরঙ্গ সংগ্রহের জন্য মনোনিবেশ করেছিলেন সেটি সূর্যের তুলনায় অনেকটায় ছোট। তাছাড়া ওই লাল বামন নক্ষত্রে রয়েছে একটি সক্রিয় এবং গভীর চৌম্বকীয় কার্যকলাপ। এর মাধ্যমেই রেডিয়ো তরঙ্গের নিষ্কাসন হয়ে থাকে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন