প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১
আগামী ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা এবং ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বুধবার (১৩ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনা বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ও টেস্ট পরীক্ষাগুলো দিতে হবে কেবল বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়ে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বর। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে দেড় ঘণ্টা।
যেসব অধ্যায় থেকে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিতের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল, সেসব অধ্যায় এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে যেসব অধ্যায়ের পাঠদান করা হয়েছিল, সেসব অধ্যায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সিলেবাস হিসেবে বিবেচিত হবে।
নম্বর বণ্টনের বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলা ও ইংরেজিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে একটি পরীক্ষা হবে। মোট নম্বর হবে ৫০। সমান নম্বরের পরীক্ষা হবে সাধারণ গণিতেও। বাংলায় লিখিত অংশে থাকবে ৩৫ নম্বর, বহুনির্বচনি বা এমসিকিউ অংশে থাকবে ১৫ নম্বর। ইংরেজিতে প্রথম পত্রে থাকবে ৩০ নম্বর, দ্বিতীয় পত্রে ২০ নম্বর। আর সাধারণ গণিতে বাংলার মতোই লিখিত অংশে ৩৫ ও এমসিকিউ অংশে ১৫ নম্বর থাকবে।
মাউশি বলছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সব বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে। সপ্তম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। আর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। সব মিলিয়ে এই ১০০ নম্বরের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে বার্ষিক পরীক্ষার ফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রেসিভ রিপোর্ট দিতে হবে।
মাউশির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এই পরীক্ষাগুলো ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। নির্দেশনায় অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।