২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ৪:১৭

বটিয়াঘাটায় শিশু জশ হত্যাকাণ্ড: মা তনুশ্রী নিজেই ছেলেকে হত্যা করেছে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২০

  • শেয়ার করুন

খুলনার বটিয়াঘাটায় পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) অমিত কুমার মন্ডলের শিশুপুত্র অনুভব মন্ডল জশ (৫) হত্যায় নতুন সূত্র পেয়েছে পুলিশ। পরকীয়া সম্পর্কের জেরে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হওয়ায় জশকে তার মা তনুশ্রী মন্ডল হত্যা করতে পারে বলে দাবি পুলিশের। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তনুশ্রী পুলিশের কাছে নিজেই ছেলেকে হত্যার কথা জানালেও আদালতে জবানবন্দি দিতে আপত্তি জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর থেকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কক্ষে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা ৬টার দিকে জবানবন্দি দিতে আপত্তি জানান তনুশ্রী।

পরে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা যায়, বটিয়াঘাটার ফুলতলা গ্রামের অমিত কুমার মন্ডল ঢাকার বাড্ডা থানায় কর্মরত। রবিবার রাতে তার স্ত্রী তনুশ্রী ও জশ ঢাকা থেকে বটিয়াঘাটার ফুলতলা গ্রামে রাসপূজায় বেড়াতে আসে। সোমবার সকালে জশের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় দড়ি বা তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চিহ্ন হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার এএসআই অমিত কুমার বাদী হয়ে তার বড় ভাই অনুপ মন্ডলকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, অনুপ মন্ডল বিভিন্ন সময় তনুশ্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন।

তনুশ্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন অনুপ।

এ কারণে তিনি শিশুটিকে হত্যা করতে পারেন। তবে শিশুটির মায়ের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাকেও হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে হত্যায় দোষ স্বীকার করতে রাজি হলে তাকে গতকাল দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। খুলনা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সঞ্জয় পাল বলেন, ‘ওই সময় তনুশ্রী আইনজীবীদের উপস্থিতিতে জানান,

পরকীয়া সম্পর্কের বিষয় জানাজানি হলে তার সংসারে মারাত্মক অশান্তি তৈরি হয়। এতে তিনি বাচ্চাকে শেষ করে নিজেও আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা নেন। কিন্তু শিশুপুত্রকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করতে পারেননি। তবে তিনি এ বক্তব্য আদালতে জবানবন্দি হিসেবে দিতে আপত্তি জানান। পুলিশ জানায়, ভোরে শিশুটিকে হত্যা করা হলেও সকাল সাড়ে ৯টা-১০টার দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়। এই দীর্ঘ সময় শিশুটি মৃত অবস্থায় মায়ের সঙ্গে বিছানায় ছিল।

অন্যদিকে বটিয়াঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল দত্ত জানান, মামলার আসামি নিহত শিশুর কাকা অনুপ মন্ডলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে তথ্য উদ্্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন