২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,বিকাল ৪:০৪

পাইকগাছায় আদালতের আদেশ অমান্য করে নতুন ইট ভাটা তৈরির অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় আদালতের আদেশ অমান্য করে কৃষি জমি ও সরকারী খাল দখল করে এবং কোন রকম অনুমোদন ছাড়ায় অবৈধভাবে নতুন ইট ভাটা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিচ্ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা মাহমুদা খাতুন।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার চাঁদখালী- মৌখালী সড়কের দক্ষিন পাশে চাঁদমুখি মৌজায় বৃদ্ধা মাহমুদা খাতুনের প্রায় আড়াই বিঘা জমি। এলাকার প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম শফি অন্য একজনের মাধ্যমে ধান ও মাছ চাষ করার শর্তে মৌখিক লিজ গ্রহন করেন। সেখানে ধান ও মাছ চাষ না করে সেখানে ইট ভাটা তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে গত ১৭ জুলাই জমির মালিক মাহমুদা খাতুন ভাটা তৈরির কাজে বাধা দেন। সে সময় প্রভাবশালী সে বাঁধা উপেক্ষা করে কাজ চালাতে থাকলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা করেন। যার নাম্বার ৩২৮/২৩ ইং। আদালত উক্ত জমির উপর ইট ভাটা তৈরি বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞা দেন।
আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম শফি অদৃশ্য ক্ষমতা বলে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আরো বেশি লোকবল নিয়ে ভাটা তৈরির কাজ অব্যহত রেখেছেন।
গত ৪ আগষ্ট সরেজমিনে পরিদর্শন যেয়ে দেখা যায় প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম শফির লোকজন ভাটার চিমনি ও ক্লিনার তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছেন। সাংবাদিদের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে সরে যান তিনি ও তার পুত্র শাহ আলম সবুজ ও আল-আমিন।

এদিকে নতুন তৈরি ইট ভাটা বন্ধের দাবী জানিয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার জিয়ারুল গাজী ও হাফিজুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি।

অভিযোগকারী জিয়ারুল গাজী জানান, আমাদের কৃষি জমির পাশে অন্যের জমি দখল করে প্রভাবশালী শফিকুল ইসলাম শফি নতুন ইট ভাটা তৈরি করছে। এখানে ভাট তৈরি হলে কৃষি ও পরিবেশ মারাত্বক হুমকির মুখে পড়বে। সেকারনে ভাটা বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দিয়েছি।

চাঁদখালী ইউনিয়নের সচিব মোঃ আব্বাস আলী জানান, নতুন ইট ভাটা তৈরি হচ্ছে শুনেছি কিন্তু তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন ট্রেড লাইসেন্স নেননি বা কোন অনুমতিও নেননি।

অভিযুক্ত ভাটা মালিক শফিকুল ইসলাম শফি’র কাছে বার বার ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ইট ভাটা তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আদালতের নোটিশ বিবাদী পক্ষকে দেয়া হয়েছে তাদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি বিবাদী পক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা অফিস থেকে ভাটাটি ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। তারা এ বিষয়টি দেখভাল করছেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন