২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১২:২৮

পাইকগাছায় ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত হত্যা মামলায় ২ জনের দায় স্বীকার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২১

  • শেয়ার করুন

খুলনা পাইকগাছা থানার ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত ঘোষ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মো. সাইফুল ইসলাম (৩০) দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম পাইকগাছার গড়ইখালি গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর গাজীর ছেলে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রান্ত ঘোষ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি খুলনা মেট্রো অ্যান্ড জেলা পুলিশ পরিদর্শক মোছাম্মদ মাহমুদা খাতুন।

তিনি জানান, প্রান্ত ঘোষ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামি মো. সাইফুল ইসলাম ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের জিল্লুর রহমান গাজীর ছেলে মো. সাইবুর রহমান(৩৫) ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিআইডি খুলনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোল্লা লুৎফর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে সাইফুল ইসলামকে খুলনা শহর থেকে এবং সাইবুর রহমানকে গড়ইখালি বাজার থেকে গ্রেফতার করে।

বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করলে আসামিদ্বয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি আলমগীর মোড়ল (২৭) সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রান্ত ঘোষ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

উল্লেখ্য, পাইকগাছার পুরাইকাঠির অচিন্ত্য (ভড়ু)ঘোষের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত ঘোষকে আসামিরা ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আনোয়ারুল ইকবাল মন্টুর প্রচারনায় উপজেলার গড়ইখালীর এক নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণের জন্য ঐদিন বিকালে স্থানীয় সালাউদ্দিন সহ অন্যান্য ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে মোটরসাইকেল যোগে সভাস্থলে যায় প্রান্ত। এরপর সভা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী প্রান্তসহ বন্ধুরা মিলে বাড়ি ফেরার সময় লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া শুকুমার ডাক্তারের মোড়ে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী বলে ধাওয়া করে দুষ্কৃতকারীরা। এক পর্যায় মোটরসাইকেল দাঁবড়িয়ে

বাঁশের বেরিকেড দিয়ে প্রান্তকে ধরে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে এবং রক্তাক্ত জখম করে তারা। মুমূর্ষ অবস্থায় ঐ রাতে তাকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনায় প্রেরণ করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ অক্টোবর প্রান্ত ঘোষ মারা যায়।

নিহতের ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষের প্রশ্ন ছিল যে, ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটলেও উপজেলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সের মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টের কথা বলে রিপোর্ট এন্ট্রি করা হয়েছে। এমন কাজটি কে বা কারা করেছে সেটাও তিনি অবগত হতে পারেননি। তিনি বলেন, আমার ছোটভাই প্রান্ত’র ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল সম্পুর্ন অক্ষত রয়েছ, বিষয়টি অধিকতর রহস্যজনক বলে মনে করেন তিনি। তাই তিনি বাদী হয়ে পাঁচ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করে ১৬ অক্টোবর পাইকগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন