১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ১২:০৫

শিরোনাম
নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬

নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : বিগত বছরের ন্যায় এবারও কেসিসির বাজেটে নতুন কোন করারোপ করা হয়নি। চলতি অর্থবছরে ৭১৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বাজেটের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যেই অধিকাংশ অর্থ দাতা সংস্থার উপর নির্ভরশীল। গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৬শ’ ১৮ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কর্পোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রশাসক ও বিভাগীয় সরকার মোঃ ফিরোজ সরকার বাজেট ঘোষণা করেন।
গত চার বছরে নতুন কোনো প্রকল্প না থাকা আর পুরাতন প্রকল্পগুলোও চলতি বছর শেষ হওয়ার পথে থাকায় এবার বাজেটের আকার ছোট।
এক বছরের ব্যবধানে বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ কমেছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। তবে নতুন করে বড় একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কেসিসি তিনটি বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি করেছে। বিভাগগুলো হলো-কনজারভেন্সি বিভাগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে প্রকল্প দুটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদন হয়। প্রায় ১ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই দু’ প্রকল্প। এর মধ্যে সড়ক মেরামতের প্রকল্পটি গত অর্থবছরে শেষ হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবছরে। ২০২১ সালে অনুমোদন হওয়া কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পও চলতি অর্থবছরে শেষ হচ্ছে।
কেসিসির হিসাব শাখা সূত্রে প্রকাশ, কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উন্নয়ন কাজের পুরোটাই আসে প্রকল্পের অনুকূলে সরকারি বরাদ্দ এবং দাতা সংস্থার অনুদান থেকে। ফলে নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন না হলে উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।
সরকারি প্রকল্প কমে যাওয়ায় অর্থ বরাদ্দও কমছে। এ জন্য বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে। চলতি বছরের বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক।
বাজেট ঘোষণাকালে চব্বিশের শহীদ শেখ মোঃ সাকিব রায়হানের পিতা শেখ আজিজুর রহমান ও মাতা নুরুন্নাহার বেগম, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমান, বাজেট অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান, চীফ প্লানিং অফিসার (চলতি দায়িত্বে) আবির উল জব্বার, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, বাজেট কাম অ্যাকাউন্ট অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা, নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তুহিন, নগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এড. জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, নায়েবে আমির মোঃ নজিবুর রহমান সরদার, বৃহত্তর উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটির সভাপতি, শেখ আশরাফ উজ জামান, নারী নেত্রী বেগম রেহেনা আক্তার, জলাই যোদ্ধা সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, জুলাই যোদ্ধা মাহাদী হাসান সীন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন