২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,সকাল ৭:৩৯

ট্রাম্পকে হাসপাতালে স্থানান্তর

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২০

  • শেয়ার করুন

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে’ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পকে ‌‘আগামী কয়েকদিন’ হাসপাতালে রাখা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ান ওয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ থেকে ডোনাল্ড নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার জ্বরসহ নভেল করোনাভাইরাসের কিছু ‘মৃদু উপসর্গ’ দেখা দেওয়ার পর, ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্প টুইটে জানান যে তিনি ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া কোয়ারান্টিনে যাচ্ছেন। এরপর করোনা পরীক্ষা করা হলে ট্রাম্প ও মেলানিয়া করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। টুইটবার্তায় ট্রাম্প নিজেই করোনায় আক্রান্তের কথা জানান।

ট্রাম্প টুইটে বলেন, ‘আমার ও মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। আমরা শিগগিরই কোয়ারেন্টিনে থাকাসহ সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করব। আমরা একসঙ্গে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব।’

এর আগে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও উপদেষ্টার করোনা পজিটিভ আসার পর ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প করোনা পরীক্ষা করান। ট্রাম্প নিজেই টুইট করে সে কথা জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর সহযোগী ও উপদেষ্টা হোপ হিকসের করোনা পজিটিভ হওয়ার পর তিনিসহ ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা পরীক্ষা করা হয়।

হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্কতা হিসেবে ওষুধ দেওয়ার পর তিনি ‘কিছুটা ক্লান্ত, কিন্তু খোশ মেজাজে’ ছিলেন।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভালো মেজাজে আছেন। (তাঁর) কিছু মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তিনি সারা দিন কাজ করেছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সহযোগী গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে হাল্কা জ্বর।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘’ব্যাপক সতর্কতার জন্য এবং তাঁর (ট্রাম্পের) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট আগামী কয়েকদিন ওয়াল্টার রিডের প্রেসিডেন্সিয়াল অফিস থেকে কাজ করবেন।’

মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট অসুস্থতার কারণে কাজ না করতে পারলে, তিনি তাঁর দায়িত্ব ভাইস-প্রেসিডেন্টের কাছে ন্যস্ত করতে পারেন। অর্থাৎ, বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সাময়িক অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন