২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ২:২৯

খুলনা জেলা আ’লীগের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

খবর বিজ্ঞপ্তির:

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারি বলেছেন, সু-দীর্ঘ ৭৫ বছরে সংগ্রামের পথ বেয়ে শিকড় থেকে শিখরে অবস্থান করছে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিকদল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিশ্ব রাজনীতিতে নিজস্ব ভাষা ও জাতি সৃষ্টির পিছনে যে কয়টি রাজনৈতিক দলের ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার মধ্যে অন্যতম। আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এক ও অভিন্ন। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা পেলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যা একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা এবং বাঙালি জাতি সৃষ্টির পিছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের অবর্ণনীয় অবদান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। পাকিস্তানের ২৩ বছর আর বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ৫২ বছরসহ মোট ৭৫ বছর ধরেই এ দেশে আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক দল হিসেবে সুপরিচিত। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে জন্ম নিয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগে। দলটি ২০০১ সালে সফলতার সাথে সুবর্ণ জয়ন্তী (৫০ বছর) পালন করেছে। ২০১১ সালে হিরক জয়ন্তী (৬০ বছর) পালন শেষে এখন ২০২৪ সালে রজত জয়ন্তী (৭৫ বছর) পালন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চিরযৌবনা। মাঝখানে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিগুলো অল্প সময়ের জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও সৃষ্টি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বাঙালি জনগণের অধিকার আদায়ে সমান গতিশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে পড়ে। পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে স্বদেশে ফিরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিলে বাংলাদেশের জনগণ আশায় বুক বেঁধে স্বপ্ন দেখা শুরু করে।
রোববার সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্য়ালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনন্দ র‌্যালী পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, সহ-সভাপতি বি এম এ ছালাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসনে আরা চম্পা, খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ ফিরোজ ইব্রহীম তন্ময়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব জুবায়ের আহম্মেদ খান জবা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
আলোচনা শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা হয়। তারপর দলীয় কার্যালয় হতে আনন্দ র‌্যালী বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। এবং জেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে মাল্যদান করেনে নেতৃবৃন্দ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন