২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১:০১

খুলনায় ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মহত্যার নেপথ্যে ২৮ লাখ টাকা!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২০

  • শেয়ার করুন

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক খুলনা শাখার কর্মকর্তা আবরার রহমান শুভর (৩৪) আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত ভিন্ন খাতে মোড় নিয়েছে। ইতোমধ্যে ওই শাখায় বড় অঙ্কের অর্থের গরমিল পাওয়া গেছে।

রোববার ঢাকা থেকে একটি অডিট টিম ব্যাংকটিতে এসে প্রায় ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের সঙ্গে শুভর সম্পৃক্ততা পেয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক এম এম রফিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন শুভ। নগরীর স্যার ইকবাল রোডে অবস্থিত শাখাটিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ক্যাশ ইনচার্জ এবং শাখার এটিএম বুথ ও ময়লাপোতা মোড়ের এটিএম বুথে টাকা ডিপোজিটেরও দায়িত্বে ছিলেন। তিন বছরের বেশি সময় শুভ এ শাখায় কাজ করেছেন।

১১ অক্টোবর এ শাখা থেকে তিনি রিলিজ নেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর শাখায় যোগদান না করে সেদিন নগরীর মৌলভীপাড়া টিবি বাউন্ডারি রোডের মডার্ন টাওয়ারের ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন শুভ। এই ভবনের ৯ তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

বাগেরহাটের রামপাল রায়েন্দা রাগুলবুনিয়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে শুভ। এ ঘটনার পর খুলনার শাখার ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিবারে শুভর বাবা-মা, স্ত্রী এবং একটি বোন আছেন।

শুভর আত্মহত্যার কারণ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় ব্যাংকে। একপর্যায়ে স্থানীয় একজন বেসরকারি কর্মকর্তার পাঁচ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার পর তা অ্যাকাউন্টে যোগ না হওয়ার বিষয়ে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টনক পড়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের।

এরপর দুবাই বাংলাদেশ সিমেন্ট কোম্পানির বিভিন্ন সময়ে জমা দেয়া ১৪ লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা না পড়ার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখা শুরু হয়।

শুভর আত্মহত্যার পর দুটি এটিএম বুথের টাকা জমা এবং উত্তোলনের সঙ্গে সমন্বয় না পাওয়ায় তা তদন্ত করে ৯ লাখ টাকার গরমিল পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার বাবা আতিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ব্যাংকের কোনো বিষয় জানি না।

তবে ব্যাংকটির খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক এম এম রফিকুল ইসলাম বলেন, শুভ আত্মহত্যার পর অনেকগুলো লেনদেনে গড়মিলের প্রমাণ মিলেছে। ঢাকা থেকে অডিট টিম এসে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ টাকার গড়মিল পাওয়া গেছে। যার সঙ্গে শুভর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত করা হচ্ছে। আর কেউ জড়িত আছে কি-না তাও ভালো করে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। শুভর বাবাকে বিষয়টি জানানো হবে। স্থানীয় ব্যাংকের আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন