২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,সকাল ৮:০৭

খুলনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২১

  • শেয়ার করুন

খুলনায় বিএনপি থেকে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনা সদর এবং সোনাডাঙ্গা থানার ১৬টি ওয়ার্ড ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৬১ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) মহানগর বিএনপরি যুগ্ম-সম্পাদক আরিফুজ্জামান অপু ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান মুরাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তারাও দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তারা অন্য কোনো দলে যোগদান করবেন কি না তা জানানো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে বাদ পড়ার পর শনিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদও হারান নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এটাই খুলনা বিএনপির নেতাকর্মীদের পদত্যাগের মূল কারণ।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে- মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির উপদেষ্টা ইস্তিয়াক উদ্দিন লাভলু, জাসাস আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দিপু, মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মহিবুজ্জামান কচি, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস
উদ্দিন বনি, সদর থানা বিএনপির যোগাযোগ সম্পাদক সেলিম বড় মিয়া, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন খোকন, এস এম শাহজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, শেখ শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ, ১৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তফা কামাল, ১৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সোহাগ, আব্দুল হাকিম, ১৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল আলিম, ১৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি এস আকরাম হোসেন খোকন, সাধারণ সম্পাদক সরদার রবিউল ইসলাম রবি, ২০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন টারজান, ২৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান আরজু, ২৬নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক
সৈয়দ বদরুল আলম বাচ্চু, হেদায়েত হোসেন হেদু, কাজী নজরুল ইসলাম, মীর মোসলেহ উদ্দিন বাবর, সাংগঠনিক সম্পাদকদ্বয় ওহেদুজ্জামান অহিদ, লিটু পাটোয়ারী, তুষার আলম, শেখ মারিফ, মোস্তফা জামাল মিন্টু, মো. হুমায়ুন কবিরসহ ২৫০ নেতাকর্মী।

খুলনা সদর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল খান কালাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ হারুন মজনু, ২১নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামাল উদ্দিন, ২৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি কাউন্সিলর শমসের আলী মিন্টু, সহ সভাপতি ওমর ফারুক ও ডা. আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ২৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি হাসান মেহেদী রিজভী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া লিটন, ২৮নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইশহাক তালুকদার,সহসভাপতি মাসুদ খান বাদল, যুগ্ম-সম্পাদক শাহীন গাজী, ২৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মিজু, সিনিয়র সহসভাপতি খান শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম খোকন, সহসভাপতি গাজী শাহাদাৎ হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক মতিয়ার রহমান বুলেটসহ ৩১১ নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য গত ২৫ ডিসেম্বর শনিবার খুলনা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উপদেষ্টা মো. মাহবুব কায়সার এবং খালিশপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আরিফুর রহমান মিঠুসহ প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগ করা অন্য নেতাকর্মীরা হলেন—খুলনা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এম কে এ তরিকুল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ কামাল টিটো, সদস্য মো. সামসুল আলম খান, মো. তারিকুল আলম, সাহেব আলী, মো. নজরুল ইসলাম নান্না, মো. রফিক, মো. খোকন গাজী, মো. ফজলুর রহমান, জাহাঙ্গীর মল্লিক, মো. বেল্লাল তালুকদার, এস এম শাহাবুদ্দিন, মো. আবুল বাশার, কবির আহমদ এবং স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম নগর শাখার ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সারুজ্জামান মুকুল।

এদিকে, ৯ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক, তরিকুল ইসলাম জহিরকে যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। অন্যদিকে আমীর এজাজ খানকে আহ্বায়ক, শেখ আবু হোসেন বাবুকে যুগ্ম-আহ্বায়ক ও এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীকে সদস্য সচিব করে জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন