২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১২:২৭

কুষ্টিয়াতে কুমারখালীর পান্টিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের মূলহোতা সুমন আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২০

  • শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় গত ৬ জুলাই ইং তারিখে কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয় এবং পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।ঘটনাটি জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়ে। এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় পৃথক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মোট ১১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার (৭ই জুলাই) এ পর্যন্ত তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ধঁরাছোয়ার বাইরেই রয়ে গেছে সংঘর্ষ সৃষ্টিকারী মূলহোতা সুমন গংরা। শরিফুল ইসলাম দুলালের দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, আসামী মোঃ সামিউর রহমান সুমন পিতা মৃত নুয়াব আলী মিয়া সাং বিরি কয়া এবং তার সহযোগী এজাহারের তালিকাভুক্ত আরও ৩৪ জন সহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে শরিফুল ইসলাম দুলালের পক্ষের সাথে বিরোধ চালিয়ে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ০৬-০৭-২০২০ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৯:৩০ মিনিটের সময় এজাহারভুক্ত ১ নং আসামী শামিউর রহমান সুমনের হুকুমে এজাহার বর্নিত আরও অন্যান্য আসামীরা হাতে লোহার রড, কাঠের বাটাম,চাপাতি, বল্লম, দা হকিষ্টিক সহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে আইনী জনতাবদ্ধে কুমারখালী থানাধীন পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজারে অবস্থিত ধানের গোডাউন এবং মোমিনুর রহমান)(৪০) পিতা মৃত আব্দুর কাদের শেখ, সাং ডাসা মধ্যপাড়া, মোঃ শলক (৩৫), পিতা মৃত মোকছেদ, বাবুল মোল্লা (৩০) পিতা হাসমত মোল্লা, মোঃ খালেক শেখ(৪০) পিতা ময়েন উদ্দিন শেখ,সর্ব সাং ডাসা,গনের দোকানে এবং সবুজ ও রাকিবের রাইচ মিলে হামলা করে ভাংচুর শুরু করে। এমতাবস্থায় শরিফুল ইসলাম দুলাল সহ তার গ্রামের লোকজন আসামীদের ভাংচুরে বাঁধা প্রদান করিলে এজাহার ২ নং আসামী নিকছন মোল্লা সহ এজাহারভুক্ত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগন শরিফুল ইসলাম দুলাল এবং তার গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান (৩০) পিতা আব্দুল করিম, ইরান আলী (২৮) পিতা লিয়াকত আলী, আনছের (২৭) পিতা মৃত মোহাম্মদ, মোঃ জহুরুল ইসলাম (২২) পিতা আনছার খা, মোঃ ইরান (২৮), পিতা লিয়াকত আলী, মোঃ কলম শেখ (৪৫) পিতা মনোয়ার আলী শেখ, মোঃ শাকিব শেখ (১৯) পিতা রফিকুল শেখ, মোঃ গোলাম সরোয়ার (২৫) পিতা মৃত ইসমাইল শেখ, মোঃ ইমরান মোল্লা (১৯) পিতা ঝন্টু মোল্লা, মোঃ সোহেল রানা (১৯) পিতা মিলন হোসেন, মোঃ রহমান আলী (১৯) পিতা আলাউদ্দিন, মোমন মন্ডল (১৯) পিতা আলাউদ্দিন শেখ, আলাল শেখ (৫০) পিতা মৃত ইব্রাহিম শেখ গনদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে হাত – পা মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সাধারন ও গুরুতর হাড় ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম করে। তারপর আসামীগন শরিফুল ইসলামের গোডাউন ও দোকানপাট, রাইচ মিল ভাংচুর করে এতে তার প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। সংবাদ পেয়ে কুমারখালী থানা আওতাধীন পুলিশ ক্যাম্প ফাঁড়ী ও থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘর্ষে লিপ্ত বর্নিত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। এ সময় আহত ব্যাক্তিদের পুলিশ এবং জনগন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ বিল্লাল হোসেন (৫০) পিতা মৃত মোফাজ্জেল হোসেন সাং সান্দিয়ারা স্ট্রোক করে মারা যায়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,মোঃ শরিফুল ইসলাম দুলালের বড় ছেলে খুরশিদুল আলম মামুন পান্টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অসহায় নিপীড়িত মানুষের পাশে দাড়িয়ে অর্থ এবং খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করে আসছেন। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের দূর্যোগের মধ্যেও তিনি প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছেন। এলাকায় ভালোকাজ করার জন্য আসামী সুমন সহ তার সহযোগী এজাহারের তালিকায় থাকা ব্যাক্তিদের দেখে তা সহ্য হয়নি। একটা পর্যায়ে সুমন গংদের মনের মাঝে মামুনের উপর হিংসের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মামুনকে সমাজের চোখে খারাপ বানানোর জন্য বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলো সুমন গংরা। আর সেই হিংসের ক্ষোভের কারনের সৃষ্টি হয়েছে দুপক্ষের সংঘর্ষ বলে জানান এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেক ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যাই সুমন মূলত বি এন পি এবং জামাত কেন্দ্রীক লোকজন নিয়ে রাজনীতি করে থাকে এবং এলাকার মানুষের উপর তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছে যেন তার বিষয়ে কেউ মুখ নাহ খুলে।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যাই।এই বিষয়ে অভিযুক্ত সুমনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও এই বিষয়ে কুমারখালি থানার ওসির সাথে কথা বললে তিনি বলেন মামলা হয়েছে তদন্ত চলছে যারা মূল অপরাধী তাদের ছাড় দেয়া হবে নাহ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন