২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১:৩১

কারাগারে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন হাজী সেলিমপুত্র

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২০

  • শেয়ার করুন

নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর ঘটনায় গ্রেপ্তার হাজী সেলিমপুত্র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিমকে কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেলিমকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন।

সোমবার মধ্যরাতে তাকে র‌্যাব হেফাজত থেকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করার অপরাধে তাকে এক বছরের সাজা দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম তাকে এ সাজা দেন। এ সময় ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুলকে ইসলামকেও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল রকিবুল হাসান মঙ্গলবার সকালে জানান, ইরফানকে রাত দেড়টার পরে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ঢাকার জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ইরফান কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

করোনাভাইরাস মহামারীকালে কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো নতুন বন্দিকে একটি সেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করতে যাচ্ছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হবে বলে র‌্যাব কর্মকর্তা রকিবুল জানান।

ইরফান ও তার সহযোগীদের হাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান মারধরের শিকার হওয়ার জের ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার থেকে সাড়ে ৮ ঘণ্টা হাজী সেলিমের চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ৯ তলা সুরম্য অট্টালিকা ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’-তে অভিযান চালায় র‌্যাব।

সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (একটি পিস্তল ও আরেকটি একনলা বন্দুক), উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৩৮টি ওয়াকিটকি, ৫টি ভিপিএস সেট, একটি দুরবিন, শক্তিশালী ইলেকট্রিক ডিভাইস, ৪০০ পিস ইয়াবা, সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার, একটি হ্যান্ডকাফ (হাতকড়া), একটি ড্রোন, একটি ব্রিফকেসসহ অন্যান্য অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।

রাত সোয়া ৮টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে অভিযান শুরু হয় আশিক মদিনা টাওয়ারের ইরফান সেলিমের ‘টর্চার সেলে’।

সেখান থেকে ইলেকট্রিক শক দিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আরেকটি দুরবিন, একটি হাঁড়ের খণ্ড, ছোরা, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়। রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে শেষ হয় অভিযান।

রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সোমবার সকালে ধানমণ্ডি থানায় ইরফানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়।

আর রোববার রাতেই পুলিশ আটক করে হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে। তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

ইরফান পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাট, মিটফোর্ড রোড ও আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

এমপি হাজী সেলিমের দ্বিতীয় সন্তান ইরফান বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে এসে বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের পরিচালকদের একজন তিনি।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন