প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৫
তথ্য প্রতিবেদক : খুলনার কয়রা উপজেলার আটরা এলাকায় ক্রয় করা জমি প্রতিবেশি কর্তৃক জবরদখল, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারালো অস্ত্রনিয়ে ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে প্রচুর গাছপালা। এই ঘটনার পর মামলা দায়ের হলে আসামীরা প্রকাশ্যে বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে।
গত ২৫ জুন সকালে মাস্টার তৈয়বুর রহমান ও মোমিন উদ্দিন সানার নির্দেশে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে মৃত জমির মোড়লের পুত্র ভুক্তভোগি শওকত মোড়ল (৫৩) ২৬ জুন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কয়রায় ২০ জন আসামীর নামসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, মমিন উদ্দিন সানার পুত্র তৈয়েবুর রহমান, মইনুর রহমান ও মিজানুর রহমান, সুজাউদ্দিন সানার পুত্র সুজন সানা, মনিরউদ্দিন সানার পুত্র সুমন সানা, লুৎফর সানার পুত্র সায়ফুল্লাহ সানা, ওয়াজেদ আলী সানার পুত্র মিনারুল সানা, বারিক মালীর পুত্র মিনারুল মালী, ছহিল উদ্দিন সানার পুত্র ইউসুফ সানা, মৃত ওমর আলী সানার পুত্র মমিন উদ্দিন সানা, মৃত মেহের আলী সানার পুত্র সুজাউদ্দিন (খোকন) সানা, নওয়াব আলী সানা ও মনিরুদ্দীন সানা, মৃত মহররম সানার পুত্র আঃ সামাদ সানা, মৃত হেমায়েত সানার পুত্র ওয়াজেদ সানা ও শাহাবুদ্দীন সানা, নেছার আলী সানার পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান, মৃত বাছের সানার পুত্র নওশের আলী সানা, মৃত মহররম সানার পুত্র জিয়াদ সানা ও লুৎফর।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শওকত মোড়ল ২০০০ সালে জমির মালিক সামাদ মোড়ল ও তার দুই ভাইয়ের নিকট থেকে জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু উপরোক্ত আসামীগণ জবরদখল করার জন্য অনেক আগে থেকেই পায়তারা চালিয়ে আসছে। যার দরুণ তারা ২০২৩ সালে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কয়রায় দেঃ মামলা দায়ের করেন। যার নং ৭৩/২৩। এই মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মামলা প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে আবারও দেঃ মামলা করেন। যার নং ১৯৭/২৩। যা এখনও চলমান। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় আসামীগণ শওকত মোড়লের বাড়িতে জবর দখলের জন্য হামলা চালায়। সর্বশেষ গত ২৫ জুন সকালে আসামীগণ দেশীয় অস্ত্রসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালায় এবং বাড়ির সীমানার ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে এবং ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিসাধন করে। এসময় শওকত মোড়ল ও তার স্ত্রী বাঁধা প্রদান করলে আসামীরা অস্ত্র দিয়ে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করতে উদ্যাত হয়।