প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২২
নির্বাচন নিয়ে সংকটে পড়ে গেছি উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, একটা বড় দল বলছে নির্বাচনে অংশ নেবে না, আরেকটি দল বলছে নির্বাচন হবে। এটা অনাকাঙ্খিত-কাঙ্খিত যাই হোক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে এমন কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হতে হবে। সেখানে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন যদি নির্বাচন না হয়। নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ হোক সেটা আমরা কখনো চাইবো না। আপনারাও চাইবেন না।
তিনি বলেন, যেভাবেই হোক গ্রহণযোগ্যভাবে নির্বাচন হোক। সুন্দর সংসদ ও সরকার গঠিত হোক এটাই আমরা চাই। বিএনপি যেটা দাবি করছে, আলাপ- আলোচনা ও সংগ্রামের মাধ্যমে বিএনপিকে তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ এটির সঙ্গে সংবিধান জড়িত।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের কোনো অনুরাগ-বিরাগ নেই। আমাদের একটাই কাজ। ভোটারকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, শহরে ভোটারদের বাধা দেওয়া হলে, সেটি অবহিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমরা অবশ্যই সচেষ্ট হবো।
নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইসির অধীনস্থ করার প্রক্রিয়াকে জটিল বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, এর সঙ্গে জটিল সাংবিধানিক বিষয় জড়িত। এটি নিয়ে সব রাজনৈতিক দল নিজের মধ্যে সংলাপ করতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, অতীতে হয়তো কোনো কারণে সেই ক্ষমতা পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেটি প্রয়োগ করার চেষ্টা করবো।
এর আগে সকালে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, বিএনপিসহ কয়েকটি দল আগাম অনাস্থা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। কী বিশেষ সুবিধা নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট হলাম তা বুঝতে পারছি না। বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা বা অন্য কোনোভাবে নতুন ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনে আসে, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।