২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,দুপুর ১:৩৩

সরকার সবসময় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকবে-ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

পাইকগাছা প্রতিনিধি:

সরকারের ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলীয় অঞ্চলে জীবন যাপন কঠিন করে তুলছে। যদিও দুর্যোগ প্রশমনে সরকারের উদ্যোগ এবং আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল সহ দুর্যোগ প্রবণ এলাকার জন্য সরকার দুর্যোগ প্রতিরোধে নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানী অতিতের চেয়ে অনেকাংশে কমে এসেছে। মন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে পোল্ডারের ভিতরে প্লাবিত হয়েছে এর বেশির ভাগ বাঁধ দুর্বল ছিল বলে জানাগেছে। কেন দুর্বল ছিল এবং কেন মজবুত করা যায়নি সেটি খতিয়ে দেখা হবে। তিনি পানি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের নামে কোন বাঁধ নির্মাণ কাজ আটকিয়ে রাখা যাবে না। সরকার এখন ভূমি অধিগ্রহণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি মূল্য দেয়।
তিনি বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে পাইকগাছা উপজেলার দেলুটী ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ তেলিখালী এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ শেষে ফুলবাড়ী বাজারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র বলেন, দেলুটীর ২২ নং পোল্ডার কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এলাকা। এখানে লবণ পানি ওঠানো হয় না। কৃষি ফসল হয়, সবুজে ভরা গাছ-পালা, গবাদি পশু ও মিষ্টি পানির মাছ চাষ করে এখানকার মানুষ সুন্দর জীবন যাপন করতো। এখান থেকে বছরে কোটি কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়। দুর্যোগ এখানকার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকবে। অর্থের কারণে বাঁধ মেরামত কাজ আটকে থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ সম্পর্কে অবহিত আছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করবেন। দ্রুত মেরামত এবং মজবুত বাঁধ যাতে হয় সে ব্যাপারে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এমপি রশীদুজ্জামান ভূমি মন্ত্রীর মাধ্যমে দ্রুত বাঁধ মেরামত, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার লবণ পানি নিষ্কসন ও দুর্গত মানুষকে যতদ্রুত সম্ভব তাদের ঘরে ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত কুমার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিতান কুমার মন্ডল, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-আমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাস, উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, জনস্বাস্থ্যের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাৎ হুসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন ও দেলুটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্মল মন্ডল।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন