প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২১
পদত্যাগপত্র সচিবালয়ে নিজ দফ্তরে পাঠিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পাঠানো পদত্যাগপত্রটি দুপুর ১টা পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়নি।
এর আগে গতকাল সোমবার ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পদত্যাগপত্র সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন মুরাদ হাসান। কিছুক্ষণের মধ্যে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ফেসবুক লাইভে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অডিও ফাঁস হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন জামালপুর-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য। বর্তমানে ডা. মুরাদ হাসান চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।
এদিকে সকালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। আগামী কার্যনির্বাহী সভায় তার বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, মুরাদ হাসানকে এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় ছিলেন এ প্রতিমন্ত্রী। বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুরাদ হাসান।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে।