প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন’ নির্বাচন উপলক্ষে ডাক যোগ পাঠানো ব্যালটপত্র খুলনা বিভাগের সব ভোটারদের কাছে পৌঁছায়নি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ বিভাগের ৪৬৫ জন ভোটারের নিজ নিজ ঠিকানায় রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে ব্যালটপত্র পাঠানো হয়।
অভিযোগ উঠেছে, খুলনা সিটি ডাকঘর থেকে এক ব্যক্তি কিছু পরিমান ব্যালট পেপার বুঝে নিয়ে খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র নাথ বৈরাগীর কাছে দিয়েছেন। পরে নৃপেন্দ্রনাথ ভোটারদের তার নিজ অফিসে ডেকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
খুলনা সিটি ডাকঘরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেখান থেকে ব্যালট পেপার এক ব্যাক্তি গ্রহন করেছেন। তিনি নিজেকে খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের লোক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ব্যালটগুলি নিজ দায়িত্বে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফারজানা সুলতানা নামে সিটি ডাকঘরে কর্মরত এক নারী জানিয়েছেন, ব্যালটপত্রগুলি খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজের ঠিকানায় এসেছিল। তারা এসে বুঝে নিয়েছেন।
এদিকে খুলনা বিভাগের ভোটারদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্রনাথ ব্যালটপত্র নিজের কাছে আটকে রেখে ফোন করে ভোটারদের তার কাছে আসতে বলছেন। তিনি ভোটারদের প্রলুব্ধ এবং চাপ সৃষ্টি করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য করছেন।
যশোরের রূপদিয়া এলাকার হাকিম মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আমি আমার ব্যালট পেপার এখনও পায়নি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র নাথ বৈরাগীর কাছে ব্যালট পেপার রয়েছে। এ জন্য আমি এবার ভোট দিতে পারবো কিনা জানিনা।
কালিগঞ্জের হাকিম মোঃ জামিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ব্যালটপত্র প্রিন্সিপাল স্যার নিজে খুলে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাপ দেয়। আমি তার বিরুদ্ধে ঢাকায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
জানতে চাইলে খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র নাথ বৈরাগী বলেন, ‘আমি কাউকে ভোট দিতে চাপ সৃষ্টি করি নাই। তাছাড়া ডাকে আসা কারো নামের ব্যালটপত্র তুলে নেওয়া অনৈতিক কাজ। আমি এ কাজ করতে পারি না।’
সূত্র অনুযায়ি, ‘বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ূর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন’ এর খুলনা বিভাগের সদস্য পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, হাকীম মোঃ আশরাফুল ইসলাম, হাকীম আ.খ. মাহাবুবুর রহমান ও হাকীম মোঃ আলমগীর কবির। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটারদের কাছে আসা ব্যালটপত্রে থাকা পছন্দের প্রার্থী নিরর্বাচিত করে ফিরতি ডাকে ঢাকায় পাঠানোর কথা। ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।