৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১:৫০

বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় নৌসেনার মিসাইলে দু’টুকরো ‘শত্রুপক্ষের’ জাহাজ!

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২০

  • শেয়ার করুন

শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে নৌসেনার গাইডেড মিসাইল করভেট আইএনএস কোরা (INS Kora) থেকে জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র (AShM) ছোড়া হয়। এদিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়ে ট্যুইট করে ভারতীয় নৌসেনা।
আরব সাগরের পর এবার বঙ্গোপসাগরে নিজের শক্তি দেখাল ভারতীয় নৌসেনা। যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে উড়িয়ে দিল ‘শত্রুপক্ষের’ জাহাজ। শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে নৌসেনার গাইডেড মিসাইল করভেট আইএনএস কোরা (INS Kora) থেকে জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র (AShM) ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের টার্গেট ছিল নৌসেনারই একটি পরিত্যক্ত যুদ্ধজাহাজ। সেটিকে শত্রুপক্ষের জাহাজ সাজিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেই জাহাজটি কার্যত ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। আগুনও ধরে যায় জাহাজের একাংশে।

এদিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়ে ট্যুইট করে ভারতীয় নৌসেনা। সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিও আপলোড করা হয়। ভারতীয় নৌসেনার ভাঁড়ারে বেশ কয়েক ধরনের জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে এদিন ঠিক কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, তা জানায়নি নৌসেনা। ট্যুইটে নৌসেনার মুখপাত্র শুধু জানান, ‘বঙ্গোপসাগরে ভারতীর নৌসেনার গাইডেড মিসাইল করভেট আইএনএস কোরা থেকে জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ দূরত্বে নিখুঁতভাবে আঘাত করে। হামলার লক্ষ্যে থাকা জাহাজটি ভেঙে গিয়ে আগুন ধরে যায়।’

২৩ অক্টোবর আরব সাগরে একই গোত্রের একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে নৌসেনা। মিসাইল করভেট আইএনএস প্রবাল (INS Prabal) থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে হামলার লক্ষ্যে থাকা একটি পরিত্যক্ত জাহাজ ডুবে যায়। পরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ছবি ও ভিডিয়ো ট্যুইট করে ভারতীয় নৌসেনা। ভিডিয়োয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুহূর্ত তুলে ধরেন নৌসেনার মুখপাত্র। আরব সাগরের পর এবার বঙ্গোপসাগরেও একই কায়দায় পেশি প্রদর্শন করল ভারতীয় নৌসেনা।

চিনের সঙ্গে সংঘাতের জেরে এখনও উত্তপ্ত পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)। সীমান্তের দু’প্রান্তে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে দু’দেশের সেনা জওয়ানরা। এরইমধ্যে বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতে আমেরিকার সঙ্গে নতুন সামরিক চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Indo-Pacific) অঞ্চলের দাবিতেও সরব হয়েছে। যা আদতে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের দখলদারির বিরোধিতা হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহল মহল। কূটনীতির পাশাপাশি চিনের উপর চাপ বাড়াতে সামরিক শক্তিও জাহির করছে ভারত। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দিল্লির সেই কৌশলেরই অঙ্গ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন