প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডেল্টা এলপিজি লিঃ তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসে (এলপিজি) খাতে ১,৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে এবং ইতিমধ্যে স্টোরেজ এবং সিলিন্ডার তৈরির প্লান্টগুলিতে ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে । যেখানে প্রায় ৫০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে।
গত বুধবার ( ৭ অক্টোবর) টি কে গ্রুপ এবং সিকোম গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে ডেল্টা এলপিজি লিমিটেড এলপিজি অপারেটর হিসাবে ”এনার্জি অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্স ” বিভাগ কর্তৃক অনাপত্তি ছাড়পত্র লাভ করেছে।
লক্ষনীয় বিষয়ঃ
ডেল্টা এলপিজি এমনি মুহূর্তে অনুমোদন পেয়েছে যখন প্রচলিত বিভিন্ন রকমের চ্যালেঞ্জের সাথে প্রতিযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের বাজারে টিকে থাকা অনেকটা মুশকিল। বর্তমানে সাতাশটি কম্পানীর কাছে এখন এলপিজির লাইসেন্স রয়েছে। তাদের মধ্যে উনিশটি বাজারে সক্রিয় থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন টন রান্নার গ্যাস সরবরাহ করে আসছে।
সীকম গ্রুপ ও ডেল্টা এলপিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক, সাবেক এফবিসিসিআইর ও চিটাগং চেম্বার পরিচালক বলেন, ” খাতটি সুপার প্রতিযোগিতামূলক। তবে আমরা সর্বোৎকৃষ্ট পরিষেবা এবং দ্রুততম পরিসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা এ বছরের জানুয়ারী থেকে বাজারে এসেছি এবং পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে এলপিজি উৎপাদন করছি। তবে মহামারী করোনা’র আমাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে বিলম্বিত করেছে।”
তিনি আরো জানান, “ডেল্টা এলপিজিও সারা দেশে ৫০০ অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে”।
এ কম্পানীর বর্তমানে মংলা এবং ঢাকায় ৬,০০০ টন এলপিজি মজুদ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও মংলায় একটি বাণিজ্যিক জাহাজের জেটি সহ একটি টার্মিনালও রয়েছে।
ডেল্টা সিলিন্ডার ম্যানুফেকচারিং প্লান্ট-এ প্রতিদিন ৩০০০ সিলিন্ডার (এলপিজি বোতল) উৎপাদন করতে সক্ষম।
ডেল্টা এলপিজি’র প্লান্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহ্ নেওয়াজ জানিয়েছেন, চট্রগ্রামে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১২০০০ টন সংরক্ষণ করার জন্য আরো একটি স্টোরেজ স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা আছে । তিনি আরো জানান, “আমরা প্রতিদিন প্রায় ৩০,০০০ সিলিন্ডার বোতল তৈরী করতে পারি এবং বছরে ২ লাখ টন এলপিজি সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখি।”
এ কম্পানী বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে ১২.৫ কেজি, ১৫ কেজি, ৩৩ কেজি এবং ৪৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ করে আসছে ।