২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ৯:৩০

বন্যায় পানিবন্দি ১১ লাখ পরিবার, ৩৩ জেলায় ৪৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২০

  • শেয়ার করুন

এবার বন্যায় দেশে ৩৩ জেলা প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৮ পরিবার। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩১ মানুষ। এছাড়া এ পর্যন্ত বন্যায় সারাদেশে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। ১ আগস্ট পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে নয় হাজার ২২১ মেট্রিক টন চাল।

শনিবার (২ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়- ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ বন্যাকবলিত হয়েছে। আর এসব জেলায় বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৯টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ১ হাজার ১৯টি। এই উপজেলাগুলোতে পানিবন্দি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৮টি পরিবার। আর ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩১ জন ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যায় এ পর্যন্ত সারাদেশে মৃতের সংখ্যা ৪৩। এরমধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে একজন, সুনামগঞ্জে তিনজন, সিলেটে একজন, কুড়িগ্রামে নয়জন, টাঙ্গাইলে চারজন, মানিকগঞ্জে দুজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, গাইবান্ধায় একজন, নওগাঁয় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন এবং গোপালগঞ্জে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে এক হাজার ৫৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪০৯ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৪৬ টি। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ৯৬৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে চালু আছে ৩৯৯ টি ।

১ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে নগদ তিন কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ২৯ লাখ ০৮ হাজার ৭০০ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা । গো-খাদ্য কেনার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ০৬ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৯২২ প্যাকেট ।

এছাড়াও বরাদ্দ দেওয়া ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিনের মধ্যে এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল। আর গৃহ মেরামত মজুরি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া নয় লাখ টাকা থেকে তিন লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন