প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫
মোঃ জাকির হোসেন,কেশবপুরঃ কেশবপুর পৌরশহর ও সদর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হরিহর নদীতে কচুরিপনায় পরিপূর্ন থাকার কারনে ভরা বর্ষার মৌসুমের আগেই উপজেলা শহরসহ শহর সংলগ্ন এলাকাও গ্রাম প্লাবিত হবার আশংকায় সকলে শংকিত।
গত ১০দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতে কেশবপুরের নিম্ন অঞ্চলে ইতিমধ্যে নদ নদীর উপচে পড়া পানি প্রবেশ করেছে আলতাপোল, সুজাপুর, বালিয়াডাঙ্গা, ব্রক্ষকাটি, সাহাপাড়া, ভবানিপুর, হাবাসপুর ও মধ্যকুল গ্রামের বাস্তাঘাট ও কিছু বাড়িঘরের উঠানে।
ঝিকরগাছা উপজেলার মধ্যে কপোতাক্ষ নদের থেকে চলে আসা হরিহর নদীর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩৫ কিলোমিটার খনন করা জরুরী বলে সিদ্বান্ত নিয়েছেন পানিউন্নয়ন বোর্ড কেশবপুর। ১৪০ কোটি টাকার প্রয়োজন এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য। বর্ষার মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ার কারনে এ বছর তাৎক্ষনিক পানি নিস্কশনের জন্যে ভাসমান ভাবে নদী খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যার কাজ আগামী কয়েক দিন পর সেই কাজ শুরু হবে বলে জানান কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তা এসডি সুমন শিকদার। তারা ভাসমান মেশিন দিয়ে কাজ শুরু হবে। ১কোটি টাকা ব্যয়ে জরুনি ভাবে কাজ শুরু করবে। সেটা খনন হবে তিন নদীর মোহনা থেকে বালিয়াডাঙ্গা দেবালয় মন্দির পর্যন্ত। এর মধ্যে হরিহর নদী খনন হবে ৪ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে আপার ভদ্রা সহ পানি নিস্কাশনের সমস্যা যে সকল স্থানে সে গুলোও ভাসমান মেশিন দিয়ে খনন করে পানি চলাচলে সচল করা হবে। এ জন্যে খরচ হবে এক কোটি টাকা বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়। গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির কারনে কেশবপুরের পৌর এলাকাসহ অন্যান্য এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যাবধানে আপার ভদ্রা নদীতে কাশিমপুর গ্রামের মধ্যে ক্রসবাধ দেয়া হয়। আপার ভাদ্রা নদী হয়ে যখন জানুয়ারী ফেব্রুয়ারী মাসে পলি উপরে এসে এ এলাকার নদী ভরাট থেকে মুক্তি পেতে ক্রসবাধ দেয়া। আবার পলি আসা যখন বন্ধ হয় জুলাই মাসের দিকে তখন ওই বাধ কেটে দেয়া হয়ে থাকে। ১০ জুলাই সকালের দিকে ওই বাধটি কেটে দেয়া হয়েছে। বাঁধটি কেটে দেয়ার পর থেকে এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন জানান ১০ জুলাই সকালের দিকে ওই বাধটি কেটে দেয়া হয়েছে। আপাতত মনিরামপুর থেকে কচুরিপনার লেজ বা শিকড় কেটে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।তারা ২/৩ দিন পর কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানান।