৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,বিকাল ৪:১৮

সোভিয়েত পারমাণবিক বোমারু বিমান ন্যাটোর দোরগোড়ায়!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২২

  • শেয়ার করুন

এমন সময়ে এই স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশের খবর এসেছে, যখন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে পুতিনের দেওয়া বক্তব্যকে বেপরোয়া বলে আখ্যা দিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউরোপের দোরগোড়ায় ১১টি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন করেছেন বলে জানা গেছে। নরওয়ে সীমান্তের কাছাকাছি একটি বিমানঘাঁটিতে বিমানগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে উঠে এসেছে এ তথ্য। খবর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য নিউজউইকের।

খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের মধ্যে শুরু হওয়া নতুন উত্তেজনার কারণে রাশিয়ার মিসাইল লঞ্চার এবং সমরাস্ত্রগুলোর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রেখেছে পশ্চিমাবিশ্ব। এরইমধ্যে বুধবার একাধিক গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, স্যাটেলাইট ছবিতে ইউক্রেন সীমান্তের দিকে পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন এবং মস্কোর ভেতরে মিসাইল পরিবহন করছে রাশিয়া।

বেশকিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই উদ্বেগকে আবার ভিত্তিহীন বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা এবং সীমানাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক বিমানের সাম্প্রতিক উপস্থিতি পারমাণবিক জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমন সময়েই এই স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশের খবর এসেছে, যখন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে পুতিনের দেওয়া বক্তব্যকে বেপরোয়া হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা।

বুধবার স্থানীয় মিডিয়া আউটলেটগুলো জানায়, ন্যাটোসদস্য নরওয়ের সীমান্তের কাছাকাছি কৌশলগত বোমারু বিমানের সংখ্যা বাড়িয়েছে রাশিয়া। নরওয়ের ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট ফ্যাকশিস্ক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন স্যাটেলাইট চিত্রে মুরমানস্ক শহরের প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিণে কোলা উপদ্বীপে রুশ বিমানঘাঁটি ওলেনিয়াতে ১১টি টুপোলেভ বিমান দেখা গেছে।

নিউজউইকের খবরে আরও বলা হয়, কৌশলগত ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে সাতটি টিইউ-১৬০ বোমারু বিমান ও কোলা উপদ্বীপে চারটি টিইউ-৯৫ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। আমেরিকান স্যাটেলাইট অপারেটর প্ল্যানেট’র কাছ থেকে নরওয়ের ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট এ তথ্য পেয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

স্যাটেলাইট চিত্রে ১১টি কৌশলগত বোমারু বিমানের যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তা মস্কোর থেকে ৪৫০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে এঙ্গেলস বিমানঘাঁটি থেকে সেখানে সরানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

নিউজউকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানগুলোকে আগেও সেখানে দেখা গেছে। তাই আপাতত বিষয়টিকে গুরুতর বা উদ্বেগের বলে মনে করার কোনো কারণ নেই।

কিন্তু পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম কৌশলগত বোমারু বিমানগুলোর অবস্থান পরিবর্তনে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেশকিছু পশ্চিমা মিডিয়া আউটলেট। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ব্যারেন্টস সাগরে পূর্ব ঘোষিত সামরিক মহড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে; কিংবা এটি ইউক্রেন ইস্যুকে কেন্দ্র করে পশ্চিমাদের সামনে রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতার আরেকটি প্রদর্শনও হতে পারে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন