১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,বিকাল ৫:৪৮

ভোমরা স্থলবন্দরে ঘোজাডাঙ্গায় আমদানি পণ্যের ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২

  • শেয়ার করুন

এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ভোমরা, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে আমদানি পণ্যের ট্রাক সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে দুইঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলে। এ সময় ভোমরা নির্মাণাধীন কাস্টমস্ ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভোমরা কাস্টমস্ সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, ভোমরা বন্দর ব্যবহারকারী সমিতি, ভোমরা বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ভোমরা স্থল বন্দর ট্রান্সপোট মালিক সমবায় সমিতি, ভোমরা বন্দর ৪টি হ্যান্ডলিং শ্র্রমিক ইউনিয়নসহ বন্দর সংশ্লিষ্ঠ সকল সংগঠন। মানববন্ধনে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে এবং মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, বিলকিস সুলতানা সাথী, আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী (সান্টু), দীপঙ্কর ঘোষ, আবু মুসা, শাহানুর ইসলাম শাহিন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবলু, শ্রমিক নেতা তরিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার জুয়েল, সিএন্ডএফ কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক নাসির উদ্দীন এবং সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, ভোমরা শুল্ক স্টেশনে বিগত ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি দাড়িয়েছে ১০৪ কোটি টাকা। ৭৭টি পণ্যের মধ্যে মাত্র ২২টি কম শুল্কের পণ্য আমদানি করা হয়। এর আগে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি করা হতো। কিন্তু সিরিয়ালের নামে ভোমরার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে ট্রাক প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যারা টাকা দিতে পারেন না তাদের ট্রাক ২০ থেকে ৩০ দিন আটকে রাখা হয়। ফলে পচনশীল পণ্য আমদানিতে উৎসা হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বক্তারা আরও বলেন, সব স্থলবন্দরের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা না দিলে ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসা করতে আসবেন না ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল ও সোনা মসজিদে স্থলবন্দরে প্রতি ট্রাকে তিন টন পণ্য ছাড় দেওয়া হয়। আর ভোমরা স্থলবন্দরে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হয় না। ফলে ব্যবসায়ীরা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে।সভাপতির বক্তব্যে শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ঘোজাডাঙ্গায় চাঁদাবাজির কারণে ভারত থেকে আনা আমদানিজাত পণ্যের মূল্য বাংলাদেশে এসে বেড়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিকারকরাও এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এর প্রভাবে সরকার রাজস্বও হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এই স্থলবন্দরটি কুখ থুবলে পড়বে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অ্যাসোসিয়েশন ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার দুই ঘন্টা কর্মবিরতি সহ মানববন্ধন করা হয়েছে।এদিকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে ট্রাক প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় এর ঘটনায় কথিত স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী চাঁদাবাজের এজেন্ট হিসাবে ভোমরায় কাজ করে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের।

প্রসঙ্গত: সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধে ৩০ জানুয়ারি রোববার তিন ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন এবং ৩১ জানুয়ারি সোমবার চার ঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধনের কর্মসূচি রয়েছে। এসব কর্মসূচিতেও যদি অবৈধ এই অর্থ আদায়ের ঘটনা বন্ধ না হলে আগামী ১ ফেব্রæয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘাষণা দেওয়া হয়েছে। এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া ছবি আছে

মোবাঃ ০১৯১২-৯৯২১৬১

২৯.০১.২০২২

 

 

 



 

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন