প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২১
এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ভোমরা(সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের জাহাঙ্গীর মার্কেটে বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন নকল প্রসাধনী (কসমেটিকস) দ্রব্য বিক্রিকালে ব্যবসায়ী ফয়সাল হোসেন(২৪) নামক এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার ভোমরা অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৩ ই জুলাই ২০২১) সকালে ভোমরা বন্দর সংলগ্ন জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকা থেকে নকল প্রসাধনী ব্যবসায়ী ফয়সালকে আটক করে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। আটক ফয়সাল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মুনজিতপুর এলাকার ইয়াদ আলীর পুত্র। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক নকল প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবসায়ী ফয়সালকে তার সাতক্ষীরাস্থ মুনজিতপুর বসতবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে আরো নকল প্রসাধনী দ্রব্য উদ্ধার করে। আটক ফয়সাল জানায়, ঢাকার চকবাজার এলাকার মাইশা এন্টারপ্রাইজ থেকে কম মূল্যে ত্বক ও রুপচর্চার নকল প্রসাধনী দ্রব্য কিনে এনে সাতক্ষীরার আশাশুনী, কলারোয়া,দেবহাটা ও ভোমরা বন্দরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে। ধৃত ব্যবসায়ী ফয়সাল আরো জানায়, সে জেনেবুঝে দীর্ঘ এক বছর যাবত এই নকল প্রসাধনী দ্রব্য বিক্রয়ের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ঢাকার চকবাজার মাইশা এন্টারপ্রাইজ থেকে কম মূল্যে বিএসটিআই অনুমোদনহীন ফেয়ার এন্ড লাভলী, পÐস ক্রিম, ফেস ওয়াশসহ বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্য চালান ক্রয় করে সাতক্ষীরার মুনজিতপুর নিজ বসতবাড়িতে জমা রাখে। এখান থেকে প্রথমে প্রসাধনী দ্রব্যের কিছু নমুনা(স্যাম্পল) নিয়ে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দোকানে দেওয়ার পর দোকানীদের নিকট থেকে প্রসাধনী দ্রব্য বিক্রয়ে অর্ডারকৃত মেমো কাটে। এরপর দিন তারিখ ধার্য্য মোতাবেক নকল প্রসাধনী পণ্য প্রতিটি দোকানে সরবরাহ করে। সে আরো জানায়, সে চকবাজার মাইশা এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রতি পিস ফেয়ার এন্ড লাভলী ৫০ টাকায় ক্রয় করে ৭০ টাকা, পÐস ক্রিম প্রতি পিস ৬০ টাকায় ক্রয় করে ৮০ টাকা এবং ফেস ওয়াশ ৫০ টাকায় ক্রয় করে ৮০ টাকায় বিক্রি করে। এদিকে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ফয়সালকে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
তারিখ: ১৩/০৭/২০২১