১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১০:৫৮

ভোমরা বন্দরে পানি নিষ্কাশনে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা,বসতি এলাকায় ঢুকছে দূষিত পানি 

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১

  • শেয়ার করুন

এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ভোমরা(সাতক্ষীরা): শ্রাবণের প্রবল বর্ষনের পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ছে সমগ্র বন্দর অঞ্চলসহ  পার্শ্ববর্তী জনবসতি এলাকায়। বর্ষার নোংরা ও দূষিত পানি ঢুকে পড়ছে স্থল বন্দর পার্কিং ইয়ার্ডের পশ্চিম পাশর্^স্ত লোকচলাচলের রাস্তায়। রাস্তার পাশে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। শ্রাবণের দফায় দফায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা ছাপিয়ে বন্দর এলাকার নোংরা ও দূষিত পানি ঢুকে পড়ছে বন্দরবর্তী বসতি এলাকায়।জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে দখল নিয়ে বিল্ডিং, অফিস, দোকানপাট গড়ে তোলায় পানি নিষ্কাশনের নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে প্রবল বর্ষনের পানি জলাবদ্ধতায় একাকার হয়ে উপছে পড়ছে সমগ্র বন্দর অঞ্চলের বসত বাড়ি এলাকায়। বন্দরের নোংরা ও দূষিত পানি ঢুকে পড়ছে ভোমরা পুরাতন হাটখোলার ঠাকুর পুকুরে। পুকুরের উপছে পড়া দূষিত পানি প্রবেশ করছে এলাকার বসতবাড়িসহ জনসাধারনের চলাচল রাস্তার উপর। পানির প্রবল চাপে ধ্বসে যাচ্ছে গ্রাম্য রাস্তার বসানো ইট ও বালু। রাস্তার মধ্যখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে গ্রাম্য এলাকার সর্বস্তরের মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ভোমরা বন্দরবর্তী পুরাতন হাটখোলার দক্ষিণ-পূর্ব তিন রাস্তার মোড় থেকে ভোমরা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত ইটের সলিং বসানো রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বন্দর সড়কে ভয়াবহ যানজট দেখা দিলে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে বহিরাগত ও এলাকার শতশত মানুষ, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ইজিবাইক, বাইসাইকেল ও মটরসাইকেল চলাচল করে। রাস্তাটির অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় ধর্মপ্রান মুসল্লিরা মসজিদে যেয়ে নামাজ আদায় করতে পারছে না। এছাড়া এলাকার শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রাম্য চিকিৎসকরা এই রাস্তাটি নিরাপদ চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু গ্রাম্য লোকদের একমাত্র চলাচলের এ রাস্তাটির সংস্কার ও জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে ভোমরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বসতি মো: হাসান আলী লাল্টুসহ এলাকাবাসী ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী ও ইউপি সদস্য জালাল উদ্দীন মোল্লার নিকট বারবার দাবি জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভুক্তভোগী হাসান আলী লাল্টু সাংবাদিকদের জানান, তার বসতবাড়ির পাশে ঠাকুরপুকুরের নোংরা ও দূষিত পানি প্রবেশ করছে তার বাড়ির আঙিনায়। এই দূষিত পানির মধ্যে হাঁটাচলা করায় তাদের পরিবারের লোকজনদের মধ্যে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ।পরিবারের লোকজনদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে দেখা দিয়েছে ঘাঁ-পাঁচড়াসহ চর্মরোগ। ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজীর নিকট সর্বসাধারনের চলাচলের রাস্তা সংস্কার ও স্থায়ী জলাবদ্ধতার নোংরা পানি নিষ্কাশনের জন্যে রাস্তা খুঁড়ে সাময়িকভাবে ড্রেন করার দাবী জানালে তিনি এলাকাবাসীর দাবী উপেক্ষা করে তালবাহানা করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী লাল্টুসহ এলাকার জনগন ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম গাজীকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি জনদূর্ভোগ লাঘবে রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কথা বলেন। এ অবস্থায় দুর্ভোগের শিকার হাসান আলী লাল্টু এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে নিজ উদ্যোগে রাস্তা সংস্কারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। লাল্টুর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে নাসির-রেজা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মো: নাসিরুল ইসলাম জানান, বন্দরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নোংরা ও দূষিত পানি ঢুকে পড়ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। নষ্ট হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ, ফাইল ও নথিপত্র। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয় আমাদের।এই দূর্বিষহ অবস্থা থেকে নিস্কৃতি পেতে জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের প্রতি আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

 

 

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন