৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সন্ধ্যা ৭:১৩

ভোমরায় পাসপোর্টযাত্রীদের ল্যাগেজ চুরিতে অভিযুক্ত বক্কার- মোতালেবের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে ভুক্তভোগী সর্বস্তরের মানুষ  তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে কেঁচো খুঁড়তে সাপ 

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২

  • শেয়ার করুন

সীমান্ত ব্যুরো, সাতক্ষীরা ঃ

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে কাষ্টমস থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের লাগেজ চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত চোরে চোরে মাসতুত ভাই নামে পরিচিত ও কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী দুই চোরের অত্যাচারে বন্দর এলাকা এখন অতিষ্ঠ। সীমাহীন অপকর্মের লাগাম ধরে বাতাসের গতিবেগে ছুটছে এ দুইজন লাগেজ চোরের অপতৎপরতা। থেমে নেই তাদের তর্জন গর্জন। কেননা চোরের বড় গলা থাকায় কোনকিছুই তোয়াক্কা করছে না তারা। এলাকার সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সাধারন জনগন পর্যন্ত লাগেজ চোরদের হাত থেকে মুক্তি নেই। এই দুই কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আবু বক্কর ও ভাসমান মোতালেবের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে বা প্রতিবাদ করলে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে নানা প্রকার হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠছে। ফলে এলাকার সুশীল সমাজ ও সাধারন মানুষ তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে। এ ব্যাপারে ভোমরা গ্রামের আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কিছুদিন পূর্বে আমি রাত ১১ টার দিকে ভোমরা বন্দরের আনার হোসেনের চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ আবু বক্কর এসে আমাকে শাসিয়ে বলল, এত রাতে তোমার এখানে কি? জবাবে আমি বললাম, তোমার এখানে এত রাতে কি? আমার বাড়ি এই এলাকায়, আমি থাকবোনা তো কি তুমি থাকবা? এই কথা শুনে বুঝে সে আমার কাছ থেকে চলে গেল। এরপর আমি বন্দরের কাজকর্ম শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভোমরা পুরাতন হাটখোলা সংলগ্ন বিজিবির পুরাতন বাশকল চেকপোষ্ট এলাকার রাস্তার পাশে রাত দেড়টার দিকে বক্করসহ অন্যান্য তিন-চারজনকে দেখতে পাই। তবে এলাকার ছেলে হিসাবে বক্করকে আমি চিনতে পারি। ওই সংঘবদ্ধ দলের মধ্যে মোতালেবের নামও শোনা যায়। আর বাকি কয়েকজন বিজিবির পরিচয় দিলেও তাদের পরিধানে কোন সরকারি পোশাক ছিল না। এই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা পথচারীদের বাইকেল, মটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে বিজিবির নাম ভাঙিয়ে তল্লাশি করে। এছাড়া ভুক্তভোগী আসাদুল আরো জানান, সম্প্রতিকালে মোতালেব ও আবু বক্করের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট যাত্রীদের লাগেজ চুরি, চাঁদাবাজি, হুমকি ও বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের কথা শোনা যাচ্ছে বন্দর এলাকায়। এদিকে স্থলসীমান্ত ল²ীদাঁড়ী গ্রামের বন্দর শ্রমিক রাশেদ জানায়, আমি লেবারি করে খাই। ঈদের সময় বক্কর ও মোতালেব আমার কাছে গিয়ে টাকা চাচ্ছে। আমি বলি কিসের টাকা? তখন বক্কর মোতালেব বলে তুই বøাক করিস, চোরাচালানি করিস, আমাদের টাকা দেওয়া লাগবে। আমি চোরাচালানি করি বিজিবি আছে, প্রশাসন আছে তারা আমার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু আবু বক্কর ও মোতালেব কোনো কথা না শুনে বলে, তুই চোরাচালানি করিস, বøাক করিস আমরা সাংবাদিক, তোকে টাকা দেওয়া লাগবে। এছাড়া এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী আবুলের কাছ থেকেও তারা প্রতিদিন টাকা নেয়। এদিকে এলাকার খেটে খাওয়া অসহায়া নারীরাও চাঁদাবাজীর হাত থেকেও রক্ষা পাচ্ছে না।তাদেরকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ল²ীদাঁড়ী গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা অসহায়া শরিফা খাতুন জানান, আমি মাঠে ঘাটে কাজকাম করে খাই, অসহায় মানুষ। মোতালেব আর বক্কর আমাকে বলে তুই বড় বড় কাজ করিস, কিন্তু আমি ওসব কিছু করি নে। পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্যাট পরিশোধ করা লাগেজের মাল কিনে মার্কেটে বিক্রি করি। যেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা এসব মাল নিয়ে আসে তাদের কাছ থেকে বক্কর ও মোতালেব মাল ছিনতাই করে নেয়। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর মার্কেটে শালিস হয়। এই শালিসে ছিনতাই করা লাগেজ মাল বিজিবির কাছে কিছু ফিরিয়ে দেয় আর বাকিটা তারা ভ

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন