৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ৮:৫১

তৃতীয় দিনে সড়কে বেড়েছে যান চলাচল

প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২১

  • শেয়ার করুন

ঢাকা অফিসঃ কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন শনিবার ঢাকার সড়কগুলোতে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। পুলিশের কয়েকটি চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, এসব গাড়ির বেশিরভাগই পোশাক কারখানা বা রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এবারের বিধিনিষেধ কার্যকরে পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং পণ্যবাহী গাড়িগুলোর চলাচল বেড়েছে। এছাড়া সড়কে প্রচুর মোটরসাইকেল এবং রিকশা চলতে দেখা যায়।

প্রগতি সরণিতে চেকপোস্ট বসিয়েছে সেনা সদস্যরা। এই চেক পোস্টে সব যানবাহনকে থামিয়ে চালক বা আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছে। একেবারেই যারা অপ্রয়োজনে বের হয়েছেন তাঁদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।

এই চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী একজন পুলিশ সদস্য বলেন, আজ সকাল থেকে অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে। বেশিরভাগই শিল্প কারখানার গাড়ি। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যারা বের হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই জরুরি কাজের কথা জানিয়েছেন।

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছেন না আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছি। কেউ কেউ মিথ্যা বলারও চেষ্টা করেন। আমাদের কাছে যাদের বক্তব্য যৌক্তিক মনে হচ্ছে তাঁদের আর আটকাচ্ছি না। কারণ আমরাও বিশ্বাস করি এই সময় জরুরি প্রয়োজন না থাকলে কারো বের হওয়ার কথা না।

মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে ব্যারিকেট বসিয়েছে পুলিশ। এই চেক পোস্টে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে দেখা যায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাড়িগুলোই বেশি চলছে। এছাড়া বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহন, হাসপাতালে যাওয়া-আসার জন্য কেউ কেউ গাড়ি বের করেছেন। এর বাইরে গণমাধ্যমের গাড়িগুলো চলছিল।

এই চেকপোস্টে দায়িত্বরত বাড্ডা থানার এসআই নুরুল হক বলেন, আমরা সবগুলো গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যারা যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারছেন না ট্রাফিক পুলিশ তাঁদের নামে মামলা দিচ্ছে।

শনিবার সকাল থেকে সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল বেড়েছে। তবে লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক রিকশা চালককে অলস বসে থাকতে দেখা যায়।

রামপুরা ব্রিজে রিকশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকা আব্দুল মোমিন বলেন, ‘আইজ বৃষ্টি না থাহায় মনে হইছিলো অনেক খ্যাপ মারা পামু। কিন্তু লোকজন খুব কম, বেশি খ্যাপ পাইতেছি না।

ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্বরে অন্তত ২০ জন রিকশা চালককে বসে থাকতে দেখা যায়। স্বাভাবিক সময়ে এই চত্বর সারা দিনই বেশ জমজমাট থাকলেও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা দিকে সেখানে কয়েকজন মানুষকে দেখা যায়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন