৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সন্ধ্যা ৭:৩২

জনুটিক রোগ নিয়ন্ত্রণে কেসিসির ১৩ নির্দেশনা

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : জনুটিক রোগ নিয়ন্ত্রণে হাঁস-মুরগী বিক্রি-ড্রেসিং কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ৮ নির্দেশনা এবং হোটেল ব্যবসায়ীদের ৫ নির্দেশনা দিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। কর্পোরেশনের ভেটেরিনারী দফতর থেকে ব্যবসায়িদের চিঠির মাধ্যমে এসব নির্দেশনার কথার জানানো হয়। কর্পোরেশনের সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস অবশ্য বলছেন, এসব নির্দেশনা অনুসরণে কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর হবেন তারা।
জানা গেছে, মহানগরীতে নির্ধারিত বাজার ছাড়াও অলি-গলিতে হাঁস-মুরগী কেনা-বেচা হয়। এসব প্রাণী থেকে জনুটিক রোগ (বার্ড ফ্লু, সালমোনোলোসিস, কোলিব্যাসিলোসিস, ক্যাম্পাইলোব্যাকটেরিওসিস, ত্বক ও চোখের প্রদাহ, এভিযান টিবি, ওরিনিথোসিস ইত্যাদি) ছড়ায়। তাই এ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ মাংস ও মাংসজাত পণ্য সরবরাহে ৮ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল, রোগাক্রান্ত, মৃতপ্রায়, মৃত হাঁস-মুরগী ইত্যাদি বিক্রি না করা, পরিষ্কার-পরি”ছন্ন পরিবেশে হাঁস-মুরগী বিক্রি করা, জবাইয়ের সময় পরিষ্কার-পরি”ছন্ন রাখা, প্রতিদিনই জবাই ও ড্রেসিং করার ¯’ান ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদি জীবানুমুক্ত করা। নাড়ি-ভুড়িসহ অন্যান্য আবর্জনা সঠিক¯’ানে ফেলে রোগ-জীবানু ছড়ানো বন্ধ করা, বিক্রয়-ড্রেসিং কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি পরিষ্কার-পরি”ছন্ন থাকা, বিক্রয়ের আগে স্যালাইন ও ভিটামিন ব্যাতিত কোন প্রকার ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা, বিক্রিয়ের পূর্বে জোরপূর্বক খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা এবং প্রতিবছর কর্পোরেশন হতে লাইসেন্স গ্রহন করা।
অপরদিকে, এ রোগ নিয়ন্ত্রণে হোটেল, রেস্তোরা, বেকারী থেকে ডিম ও ডিমজাত পণ্য সরবারহের কাজে নিয়োজিত বাবুর্চি ও ব্যক্তিকেও ৫ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হল, ফার্ম-দোকান হতে ডিম ক্রয়ের ডিটারজেন্ট-সাবান-ইথনাল দিয়ে পরিষ্কার-পরিছন্ন করা, পরোটা-মোগলাই ও ডিম-অমলেট ভাজি করে পুনরায় নোংরা হাতে তৈরি না করা, ডিমের খাঁচা ও রাখার ¯’ান পরিষ্কার-পরি”ছন্ন রাখা, ডিমের খোসা সঠিক ¯’ানে ফেলে রোগ-জীবানু ছড়ানো থেকে বিরত রাখা, ডিম ভাঁজি, অমলেট, রান্না করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা ।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভেটেরিনারী সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস বলেন, জনুটিক রোগ প্রাণী হতে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। তাই এ রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ মাংস ও মাংসজাত পণ্য সরবরাহ এবং ডিম ও ডিমজাত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। সংশ্লিস্টরা এসব নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে ভোক্তা অধিকার আইনসহ অন্যান্য আইনে ব্যব¯’া নেওয়া হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন