১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১:৫৪

শিরোনাম
খুলনায় ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সচেতনতা সভা করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ খুলনার লবণচরায় পিওর আর্থ এর সীসা দূষণ সচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র “ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সংলাপ” মোংলা বন্দরের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন খুলনায় ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং সেক্টরে এস আলমের একচ্ছত্র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা

খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের কর্মসূচি স্থগিত!

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২০

  • শেয়ার করুন

খুলনায় আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিকদের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনও মিলে না আসায় খুলনা অঞ্চলের নয়টি পাটকলের শ্রমিক চলমান অবস্থান কর্মসূচি ও বুধবার দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ মঙ্গলবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এসব কর্মসূচি স্থগিত করে।

সন্ধ্যায় প্লাটিনাম জুট মিলে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। একইভাবে অন্য আটটি পাটকলের শ্রমিক নেতারা কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। তারা জানান, বুধবার স্বাভাবিকভাবে মিলের উৎপাদন কার্যক্রম চলবে।

এর আগে রোববার (২৮ জুন) দুপুরে মহানগরীর খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউিট কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রক্ষা সিবিএ ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মিলগেটে সন্তানদের নিয়ে শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মিলগেটে অবস্থান। এরপরও দাবি না মানলে বুধবার দুপুর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরণ অনশন শুরু।

জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয় পাটকলে এক হাজার ৪৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার লোকসান হয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির আওতায় পাটকল বন্ধ রাখা হয়। তবে চাল ও বীজের মোড়কে পাটজাত বস্তার সংকট তৈরি হলে ২৫ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে উৎপাদন শুরু করে পাটকলগুলো। কিন্তু ২৫ জুন ঢাকায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সারাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল আবারও বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এর জেরে আন্দোলনে নামে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন