১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সকাল ৬:৫৬

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

কেশবপুর প্রতিনিধি : দুটি বিদ্যুৎ চালিত সেচ মটরের মধ্যে একটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিশ প্রদানের বিরুদ্ধে যশোর সহকারী জজ আদালতে ভুক্তভোগী এক কৃষক মামলা দায়ের করেছেন। ২৫/০৯/২৩ তারিখ আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ও বিএডিসির কর্মকর্তাকে বিবাদী করে মামলাটি করেছেন ওই কৃষক। আদালত আদেশ দিয়েছেন নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে অত্র আদালতে জবাব দাখিল করতে হবে।
গত ১৪/০৯/২৩ তারিখে কেশবপুর শহর সংলগ্ন ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদের ২টি সেচ মটরের মধ্যে ১টি মটরের লাইন্সেস বালিতসহ তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি পত্র দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
যার স্মারক নং-০৫.৪৪.৪১৩৮.০০০.১৩.০০১.২৩.১২৮৫(২)। পত্র প্রাপ্তির পর ভুক্তভোগী আব্দুল মাজেদ ২৫ সেপ্টম্বর তার ও এলাকার কৃষকদের মাঠভরা আমন ধান বাঁচাতে যশোরের কেশবপুর থানা বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে ওই মামলা করেন। যার মামলা নং- ২৯৮, তাং-২৫/০৯/২০২৩। মামলার বাদী জানান সেচ আইন মেনেই তিনি ২০০৯ ও ২০১৪ সালে ২টি সেচ মোটরের সংযোগ নেন। এছাড়া তিনি অদ্যাবধি সেচ আইন মেনেই মটর দুটি পরিচালনা করে আসছেন। এরই মধ্যে গত ১৪/০৯/২৩ তাং-উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতির দেয়া পত্র, বে-আইনী ঘোষনার জন্য আব্দুল মাজেদ বিজ্ঞ আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন। এবং সেচ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ অন্যায় ভাবে যাতে বিচ্ছিন্ন করতে না পারে তারও আবেদন করেন বাদী। এরই মধ্যে ভোগতি গ্রামের জনৈক ব্যাক্তির নিকট থেকে পানির টাকা বেশী নেয়ার মিথ্যা অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার ২টি সেচ সংযোগের মধ্য ১টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য অন্যায় ভাবে আমাকে একটি পত্র দেন। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এস এম শাহীন আহসান সাংবাদিকদেও জানান এক ব্যাক্তির নামে ২টি সেচ মোটরের সংযোগ দেয়া যাবেনা সেচ নীতি মালায় এমন কোন বিধান নেই। এছাড়া কোন কৃষকের বিভিন্ন মাঠে জমি থাকলে তিনি ওইসব স্থানেও সেচ মটরের সংযোগ নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে উপজেলা সেচ কমিটির সুপারিশ থাকতে হবে। যেহেতু কৃষক আব্দুল মাজেদ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ ব্যাপারে আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেচ কমিটির সভাপতি এমএম আরাফাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কৃষক আব্দুল মাজেদ আদালতে মামলা করেছেন কি-না তা আমার জানা নেই। এছাড়া আদালতের কোন নোটিশ এখনও পাইনি। নোটিশ পেলে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন