২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,সন্ধ্যা ৭:২৬

কবি সাহিত্যিকদের কল্যানে সাহিত্য মন্ত্রনালয় চাই – মনজু খন্দকার

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

বিভেদ নয়। বিভ্রান্তি নয়। আমাদের লক্ষ্য কবি সাহিত্যিকদের উন্নয়ন,সামাজিক নিরাপত্তা, সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি, অর্থের অভাবে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করতে না হয়, অর্থের অভাবে কোন কবি সাহিত্যিকদের বিনা চিকিৎসায় যেন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে না যেতে হয়। এক কথায় আমরা যারা লেখা লেখি করি আমাদের কোন মন্রনালয় নেই। কবি সাহিত্যিকরা অভিভাবক হীন। মাথার উপর কোন ছাতা নেই।
সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না – কথা বলা যাবে না এ কারণেই যে,এক শ্রেণীর কবি সাহিত্যিকরা তেল মর্দনের মাধ্যমে সরকারী সুযোগ সুবিধা লাভে ধন্য হচ্ছে।যা কবি সাহিত্যিকদের জন্য পীড়াদায়ক, লজ্জাস্করও বটে। কবি সাহিত্যিক অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে জানে না। সত্যিকে সত্যি মিথ্যাকে মিথ্যা লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরায় কবি সাহিত্যিকদের ব্রত।আমরা দেখেছি স্বাধীনতা যুদ্ধে
‘ কলম যোদ্ধাদের ভুমিকা।যা ইতিহাসের পাতার স্বর্গ অক্ষরে চিরদিন জ্বল জ্বল করবে।আমরাও গর্বে ভরে উঠি।
আমরা দেখেছি সর্বনাশা করোনার সময়ে সরকারের সংস্কৃতি মন্রনালয় কর্তৃক প্রনোদনা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিয়ন্ত্রণে স্হানীয় শিল্প কলা একাডেমীর তত্ববধায়নে তালিকা প্রনয়ন করা হয় সারা দেশ ব্যাপি কিন্তু দেখা যায় জেলা উপজেলায় কোন কবি সাহিত্যিকদের ভাগ্যে তালিকায় নাম উঠেনি। বিধায় সেই সুযোগ সুবিধা থেকে কবি সাহিত্যিকরা বঞ্চিত হয়েছে। করোনার সময়ে সকল পেশার লোক জন সরকারের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে খুব সহজেই কিন্তু কবি সাহিত্যকদের কোন মন্রনালয় না থাকার কারনেই বঞ্চিত হয়েছে। অভিভাকত্বের অভাবে কবি সাহিত্যিকরা আজ অবহেলিত। অভিভাবত্বের অভাবে করোনার কবি সাহিত্যিকরা কাজ হারিয়ে অসহায়ত্বের মধ্যে জীবন যাপন করেছে।কারো কাছে হাত পাততে পারেনি।যেতে পারেনি স্হানীয় কমিশনারদের কাছে সাহার্য্যের জন্য। আমরা প্রায় লক্ষ্য করে থাকি অর্থের অভাবে চিকিৎসা না নিতে পারায় মৃত্যুর কাছে অসময়ে হার মানতে হচ্ছে কবি সাহিত্যিকদের।
কবি সাহিত্যিকদের অভিভাবক হীন এই উপলব্ধি থেকেই আমাদের মনে হয়েছে আমরা যারা লেখালেখি করি (কবি সাহিত্যিকদের) তাদের কিছু একটা করা দরকার। যেমনটি রয়েছে সংস্কৃতি মন্রনালয়। শিল্প কলা একাডেমীর তত্বাবধায়নে জেলা উপজেলা পর্যায়ে তার বিস্তৃতি।প্রত্যেক শিল্ল কলা একাডেমী প্রাঙ্গণে নাচ,গান,নাট্য গোষ্ঠীর রিয়াসেলের জন্য রয়েছে নিদ্ধারিত কক্ষ বরাদ্দ কিন্তু সাহিত্য চর্চার জন্য,সাহিত্য আসরের জন্য নিদিষ্ট কোন কক্ষ কোন সাহিত্য সংগঠনের নামে বরাদ্দ নেই। কোন কিছু করতে হলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়।সেখানেও আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। অভিভাবকত্বের কারণেই।
বৈষম্যে,সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার উপলব্ধি আমাদেরকে দারুন ভাবে জাগ্রত করেছে। ।অন্যান্য সকল পেশার মানুষদের যদি মন্রনালয় থাকতে পারে তবে কবি সাহিত্যিকদের কেন মন্রনালয় থাকবে না। যুক্তি সঙ্গত ন্যায় দাবী কবি সাহিত্যিকদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাই আমরা চাই আমাদের কবি সাহিত্যিকদের মন্রনালয়। যেখানে কবি সাহিত্যিকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা,কল্যান,প্রকাশনা,চিকিৎসা, সামাজিক মার্যাদা সুনিপুন ভাবে এবং নিজ ভাবনায় নিজ স্বাধীনতায় তাদের লেখনীর মাধ্যমে সাদাকে সাদা,কালোকে কালো বলার বিষয়টাও
উল্লেখ থাকতে হবে।

তাই কবি সাহিত্যিকদের প্রানের যুক্তি সঙ্গত নায্য দাবী আমাদের অভিবাবক সাহিত্য মন্রনালয় চাই।কবি সাহিত্যিকদের সার্বিক কল্যানে।যেহেতু সাহিত্য এবং সংস্কৃতি একে অপরের পরিপুরক তাই আমাদের দাবী সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় -এর সাথে সাহিত্য যুক্ত করে” সাহিত্য ও সংস্কৃতি মন্রনালয় “করা হোক।
আমাদের কবি সাহিত্যিকদের প্রাণের যুক্তি সঙ্গত নায্য দাবী যা কবি সাহিত্যিকদের অভিভাবক ও কল্যানের এই উপলব্ধি আজ সবার হৃদয়ে বিরাজমান। আসুন আমার এক্য বদ্ধ ভাবে একই সুরে স্বোচ্চার হই আমাদের প্রাণের যুক্তি সঙ্গত নায্য দাবী ” সাহিত্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় ” করা হোক। এই ন্যায় সঙ্গত অতঃপর সময়ের দাবী সরকার বাহাদুরের কাছে বাস্তবায়নের জন্য উপস্হাপন করা জরুরী। আসুন আমরা এক্য বদ্ধ ভাবে আওয়াজ তুলি কবি সাহিত্যিকদের কল্যানে আমাদের প্রানের যুক্তি সঙ্গত নায্য দাবী “সাহিত্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় “নাম করন করে প্রজ্ঞাপন জারী এবং শিল্প কলা একাডেমী ন্যায় জেলা উপজেলায় সাহিত্য ভবন নির্মানের জোড় দাবী কবি সাহিত্যিকদের।আমাদের চাওয়া সফল হোক। সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন