১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১:৫৮

শিরোনাম
খুলনায় ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সচেতনতা সভা করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ খুলনার লবণচরায় পিওর আর্থ এর সীসা দূষণ সচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র “ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সংলাপ” মোংলা বন্দরের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন খুলনায় ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং সেক্টরে এস আলমের একচ্ছত্র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা

আজ শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী বৈসাবি উৎসব

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২২

  • শেয়ার করুন

নদীতে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব। ধর্মীয়, সামাজিক রীতিনীতিতে সপ্তাহব্যাপী চলবে এই উৎসব।

বাংলা নববর্ষের আগে এবং পরে পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করে। তবে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী এই উৎসব পালন করায় তা আর পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।

গত দুই বছর করোনার কারণে এই উৎসব শুধুমাত্র ঘরোয়াভাবে পালন করা হয়। ছিল না বাড়তি কোনো সামাজিক আয়োজন নিয়ে উৎসবের পরিমণ্ডল। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘বৈসাবি’ নামে বেশি পরিচিত। মূলত তিন জাতিগোষ্ঠীর উৎসবের প্রথম অদ্যাক্ষর দিয়ে উৎসবের নামকরণ।

ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর বৈসু উৎসবের ‘বৈ’, মারমা জাতিগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসবের ‘সা’ এবং চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসবের ‘বি’ দিয়ে নামকরণ করা হয় ‘বৈসাবি’ উৎসবের।

উৎসবের প্রথম দিন বিশ্ব শান্তির মঙ্গল ও পরিবার-পরিজনের সুখ শান্তি কামনায় নদীতে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনা করা হবে।

ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠী তিন দিনব্যাপী বৈসু উৎসব পালন করে থাকে। প্রথম দিন হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিন বৈসুমা এবং শেষ দিন আতাদাক বা বিছিকাতাল। মারমারা চার দিনব্যাপী উৎসবটি পালন করে। প্রথম দিন সাংগ্রাই, দ্বিতীয় দিন আক্যে, তৃতীয় দিন আতাদা এবং শেষ দিন আতং। চাকমা জাতিগোষ্ঠী ফুল বিজু, মূল বিজু ও গজ্জাপজ্জা নামে তিন দিনব্যাপী এই উসব পালন করবে।

উৎসবের দিনগুলোতে বন জঙ্গল থেকে ফুল সংগ্রহ করে নদীতে ভাসানো, ঘর সাজানো, পূজা অর্চনাসহ অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী ভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করে থাকে।

পরিবেশ-পরিস্থিতি, ধনী-গরীব, নানা বাস্তবতায় আয়োজনে পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু শেকড়ের খোঁজে সবার লক্ষ্য এক।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন