১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১২:০৫

শিরোনাম
অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আজ শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী বৈসাবি উৎসব

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২২

  • শেয়ার করুন

নদীতে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব। ধর্মীয়, সামাজিক রীতিনীতিতে সপ্তাহব্যাপী চলবে এই উৎসব।

বাংলা নববর্ষের আগে এবং পরে পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করে। তবে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী এই উৎসব পালন করায় তা আর পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।

গত দুই বছর করোনার কারণে এই উৎসব শুধুমাত্র ঘরোয়াভাবে পালন করা হয়। ছিল না বাড়তি কোনো সামাজিক আয়োজন নিয়ে উৎসবের পরিমণ্ডল। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘বৈসাবি’ নামে বেশি পরিচিত। মূলত তিন জাতিগোষ্ঠীর উৎসবের প্রথম অদ্যাক্ষর দিয়ে উৎসবের নামকরণ।

ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর বৈসু উৎসবের ‘বৈ’, মারমা জাতিগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসবের ‘সা’ এবং চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসবের ‘বি’ দিয়ে নামকরণ করা হয় ‘বৈসাবি’ উৎসবের।

উৎসবের প্রথম দিন বিশ্ব শান্তির মঙ্গল ও পরিবার-পরিজনের সুখ শান্তি কামনায় নদীতে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনা করা হবে।

ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠী তিন দিনব্যাপী বৈসু উৎসব পালন করে থাকে। প্রথম দিন হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিন বৈসুমা এবং শেষ দিন আতাদাক বা বিছিকাতাল। মারমারা চার দিনব্যাপী উৎসবটি পালন করে। প্রথম দিন সাংগ্রাই, দ্বিতীয় দিন আক্যে, তৃতীয় দিন আতাদা এবং শেষ দিন আতং। চাকমা জাতিগোষ্ঠী ফুল বিজু, মূল বিজু ও গজ্জাপজ্জা নামে তিন দিনব্যাপী এই উসব পালন করবে।

উৎসবের দিনগুলোতে বন জঙ্গল থেকে ফুল সংগ্রহ করে নদীতে ভাসানো, ঘর সাজানো, পূজা অর্চনাসহ অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী ভিন্ন নামে এই উৎসব পালন করে থাকে।

পরিবেশ-পরিস্থিতি, ধনী-গরীব, নানা বাস্তবতায় আয়োজনে পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু শেকড়ের খোঁজে সবার লক্ষ্য এক।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন