৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ১১:২৯

শিরোনাম
খুলনায় ১৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান সিএসএস মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম’র খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা

হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে শ্যামনগরের সড়কের কার্পেটিং

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওলভাঙ্গীগ্রাম থেকে বাদুড়িয়া গ্রাম প্রর্যন্ত সড়কের নির্মাণের কার্পেটিং শুরু হয়েছে দুই দিন আগে। এরই মধ্যে হাত দিয়ে টানলেই কার্পেটিংয়ের পিচ উঠে যাচ্ছে।

স্থানীয়ও শহিদুল ইসলাম,তরিকুল ইসলাম, ফরিদা বেগম সহ অনেকে জানান, শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। নিম্নমানের কাজের অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা কয়েকবার কাজে বাধা দেন। তবে ওসব বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

আরো বলেন, কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার হওয়ার কথা। সেখানে তা ১৫ থেকে ১৭ মিলিমিটার ও চৌড়া ১০ ফুট থাকলেও কিছু জায়গায় কম হয়েছে। নামমাত্র বিটুমিন দেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওলভাঙ্গী-বাদুড়িয়া পর্যন্ত ২ হাজার ৬১৫ মিটার সড়ক পাকা করার উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এ কাজটি পান মেসার্স মোল্লা ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের ঠিকাদার নূরুল হক মোল্লা। ২০২১ সালের ৮ আগষ্ট কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে পর এখনও পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেননি।

আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু জানান, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে হাওলভাঙ্গী যান তিনি। সড়কটি নির্মাণের প্রথম থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন অভিযোগে কয়েকবার স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিডি অফিস ও জেলা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও অদৃশ্য কারণে এর কোন ব্যবস্থা নেইনি কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সড়কের কাজের ঠিকাদার নুরুল হক মোল্লা জানান, শতভাগ নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। কাজ দেখবে এলজিইডি স্থানীয় লোক কি বলল না বলল সেটা কান দেওয়ার দরকার নেই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, বিষটি আমি জানিনা দেখছি, লোক পাঠাচ্ছি।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন