প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
সাতক্ষীরায় হত্যার ৫দিন পর রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) শহরের কামালনগর এলাকায় বাইপাস সড়কের একটি ব্রীজের নীচের ডোবা থেকে চা বিক্রেতা নিহত ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্যরা। এর আগে হত্যায় অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হত্যাকারীর নাম জাকির হোসেন শেখ (৫০)। সে খুলনার মৃত বাচ্চু শেখের ছেলে। সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকন্দা এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করত জাকির হোসেন।
র্যাব সূত্র জানায়,পাওনা ২০ হাজার টাকা আদায় করতে না পেরে বন্ধু ইয়াসিন আলীকে গলা কেটে হত্যা করেছিল জাকির হোসেন। নিহত ইয়াসিন আলীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের ৫ দিন পর রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৬ এ তথ্য জানিয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরতলীর কামালনগর এলাকার ব্রিজের নিচের ডোবা থেকে নিহত ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধার করেছে র্যাব।
এর আগে, হত্যাকারী জাকির হোসেনকে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার আলীপুর চাঁপারডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জাকির সাতক্ষীরা পৌরসভার গড়েরকান্দা এলাকার বাসিন্দা।
রোববার সকালে শহরের কামালনগর এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ (খুলনা) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, সদর উপজেলা পরিষদের সামনের একটি চায়ের দোকানের মালিক ইয়াসিন আলীর সাথে জাকির হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল। ব্যবসার কথা বলে ইয়াসিন আলী জাকিরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের সাথে গত সপ্তাহে ইয়াসিনের তুমুল ঝগড়া হয়। এ ঘটনার পর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করে জাকির। রাজমিস্ত্রির কাজ করার কথা বলে মঙ্গলবার রাতে ইয়াসিনকে বাইপাস সংলগ্ন বকচরা মোড়ে নিয়ে যান জাকির। সেখানে গল্প করতে থাকেন দুজন। মধ্যরাতে আশপাশে কেউ না থাকার সুযোগে ইয়াসিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে একপর্যায়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন জাকির। পরে দেহটি পাশের একটি ঘেরে আর মাথা এক কিলোমিটার দূরে ব্রিজের নিচের ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় জাকির।
এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাকিরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ।
জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরতলীর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ঘের থেকে গত বুধবার সকালে ইয়াসিন আলী নামে এক চা বিক্রেতার মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সদর উপজেলা পরিষদের সামনে চা বিক্রি করতেন।
ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।