৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ৯:৫০

রবিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে: শিল্প উপদেষ্টা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

আগামী রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে কারখানা মালিক ও সংগঠনের নেতাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রবিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে দেশ ও শিল্পের স্বার্থে, শ্রমিক ভাই-বোনদের কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে যদি কোনো কারখানায় শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করেন, কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যান, কারখানায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়, তাহলে সেই কারখানার মালিক ইচ্ছা করলে আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, আগামীকাল দেশের সব তৈরি পোশাকশিল্প কারখানা খোলা থাকবে। কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে সরকার। দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কেউ যদি কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা করেন, সেটাও মনে রাখা হবে। উৎপাদনে ফিরেছে আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানা। দ্রুত সময়ে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন শ্রম উপদেষ্টা। এর আগে হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, হঠাৎ মারপিট শুরু হয়ে গেলো-ভাঙচুর শুরু হয়ে গেলো। মালিকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেক কারখানায় লুট হয়ে গেছে। সেনাবাহিনী না থাকলে আরও অনেক পোশাক কারখানা লুট হয়ে যেত।
তিনি বলেন, ‘আজ ১৫ দিন যাবত কোনো কাজ হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি আমাকে বিশেষ ব্যবস্থা না করে দেয় আমি ৭৫ হাজার লোকের বেতন দিতে পারবো না। বিজিএমইএর তথ্যনুযায়ী এ পর্যন্ত ২৭০টি গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের যদি নিরাপত্তা না দেন এভাবে মার খেয়ে আর কারখানা চালাতে পারবো না। আমাদের নিরাপত্তা দেন, না হলে আমাদের পক্ষে কারখানা চালানো সম্ভব না।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কাল থেকে যদি দায়িত্ব নিতে পারেন ফ্যাক্টরি চলবে। ভারত, আমেরিকাসহ পাঁচ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ। কোনো কাস্টমার বাংলাদেশে আসছে না। আমরা প্রতিদিন ক্রেতাদের বলছি সব ঠিক হয়ে যাবে। তারা আমাদের বিশ্বাস করছে না। তারা অন্য দেশে চলে যেতে চাচ্ছে।’
সভায় সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তবে সমাধান না হলে শিল্পের অস্থিরতা নিরসন সম্ভব নয়। পোশাক শিল্পকে রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে সেনাবাহিনী।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তা এবং শ্রমিক নেতারা।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন