২রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ২:৫৪

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২ খুলনায় নৌবাহিনীর সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেফতার লবণচরা থানার কড়া নজরদারীতে প্রায় দেড় মণ গাঁজাসহ আটক-২

খুলনায় মায়ের চিকিৎসা ও নিজের জীবনের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক:
জীবনের নিরাপত্তা ও পিতার সম্পত্তি আত্মসাতের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ১ টায় আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খালিশপুর আবাসিক ১১৭ নম্বর রোডের বি/১৪ এর মৃত ফজলুল হকের মেয়ে কোহিনুর বেগম।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়েরা বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ভাইদের অত্যাচার সইতে না পেরে ছোট ভাই কাজী মোস্তাফিজুল হক রিপন আত্মহত্যা করে।
শুধু তাই নয়, মা জাকিয়া বেগমের সম্পত্তি আত্মসাৎ এর লক্ষে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চিকিৎসায় অনিয়ম ও অবহেলা করছেন। আমার ভাই কাজী মাহবুবুল হক খোকন, কাজী মাহফুজুল হক (স্বাধীন), কাজী মঈনুল হক লিটন ও আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী উম্মে সালমা জাহান লুনা সংঘবদ্ধভাবে আমার বাবা চাকুরী থেকে এলপিআর যাবার পরে বাবার উপরেও শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে ওয়ারিশদের সকল অর্থ এবং তার গ্রামের বাড়ীর যাবতীয় সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেয়। মা অসুস্থ জানতে পেরে আমি ঢাকা থেকে জরুরী ভিত্তিতে ভাই কাজী মাহবুবুল হকের ভাড়া বাসায় মাকে দেখতে ও চিকিৎসা করাতে আসি এবং তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিন্তু গত ১৮ মে সকাল অনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে আমার ভাই কাজী মাহবুবুল হক খোকনের হুকুমে দুই ভাই ও ভাবি আমাকে মারপিট শুরু করে। কাজী মাহফুজুল হক স্বাধীন মায়ের ঘরের আলমারী খুলে (ত্রিশ ভরি) স্বর্ণ ও নগদ দুই লক্ষ টাকা জোর করে নিয়ে যায়। আমাকে বেধড়ক মারপিট করলে আমার ডাক চিৎকারে বুলবুলি বেগম ও জাহানারা বেগম আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমাকে স্থানীয় একটি ডিসপেনসারীতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। কিন্তু আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত আনুমানিক ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ২১ মে পর্যন্ত চিকিৎসা গ্রহনের পর কিছুটা সুস্থ্য হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করাতে গেলে থানা পুলিশ কোন অভিযোগ নেয়নি।
তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মায়ের চিকিৎসা ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন