৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ৮:১০

শিরোনাম
খুলনায় ১৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান সিএসএস মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম’র খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা

কাল থেকেই ‘কঠোর লকডাউন’, মাঠে থাকবে বিজিবি-সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২১

  • শেয়ার করুন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদের এক দিন পর আগামীকাল শুক্রবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধের যে ঘোষণা ছিল সেই সিদ্ধান্তই বহাল আছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কাল থেকেই দেশজুড়ে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

লকডাউন শিথিলের মেয়াদ পিছিয়ে ২৭ জুলাই করার যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবারের বিধিনিষেধ মানুষের অবাধ চলাফেরায় ‘সবচেয়ে কঠোর’ হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। শিথিল অবস্থার মেয়াদ পিছিয়ে ২৭ জুলাই থেকে আবার শাটডাউন দেয়ার যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু অফিস-আদালত এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, রপ্তানিমুখী- সবকিছু বন্ধ থাকবে, তাই এটা এ পর্যন্ত যতগুলো লকডাউন হয়েছে তার মধ্যে সর্বাত্মক কঠোর হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু মানুষের বাইরে আসার প্রয়োজন হবে না, মানুষের অফিসে যেতে হবে না, গার্মেন্টস কারখানায় যেতে হবে না, ফলে এবারেরটা গতবারের চেয়ে বেশি কঠোর হবে। এটি বাস্তবায়ন করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করবে।’

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে মানুষের জীবন জীবিকা ও উৎসবের চিন্তা করে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা পরিচালনা এবং দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা পর্যন্ত আরোপিত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হলো। তবে এ সময় সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কাবস্থা থাকা মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

একই প্রজ্ঞাপনে ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে নির্দেশনা জারি করা হয়। সে আদেশে চলমান বিধিনিষেধের মতোই সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহনসহ সকল যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ এবং শপিং মল ও দোকান-পাট বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি সব ধরনের শিল্প কলকারখানা বন্ধের ঘোষণাও আসে। ফলে যারা বাড়ি গিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করছেন তাদের কর্মস্থল বা নির্ধারিত গন্তব্যে ফিরে আসতে হবে শুক্রবার ভোর ৬টার মধ্যে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা গিয়েছেন, তারা জানেন যে তাদের কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। তারা সময় নিয়ে গেছেন। তারা যেন ৫ তারিখের (আগস্টের) পরই আসেন। কারণ তাদের এখন আসার প্রয়োজন নেই।’

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন