প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২
খুলনার সোনাডাঙ্গা বিহারী কলোনী এলাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলয় ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া চারজনকে ৮ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), রাব্বি হাসান পরশ, মাহামুদ হাসান আকাশ, কজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মিম হোসেন।
এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি নুরুনবী আহমেদ, মইন হোসেন হৃদয়, মো. সৌরভ শেখ ও জিহাদুল কবীর জিহাদকে আট বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে পর্ণগ্রাফি আইনে নুরুনবী আহম্মেদকে আরও ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৯টি আলামত উদ্ধার করেছিল। এ ছাড়া, ১০ জনের মধ্যে ৫ আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। ডিএনএ টেস্টেও ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আদালত সন্দেহাতীতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় রায় প্রদান করেছেন। আশা করি উচ্চ আদালতেও রায় বহাল থাকবে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দুদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে আসামি শান্ত ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে ডেকে নেন। ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি নগরীর ডালমিল মোড়ের বি কে রায় রোডে। শান্ত বিশ্বাস তাকে নগরীর বিহারী কলোনি মোড়ের নুরুনবী আহমেদের ভাড়া বাসার নিচতলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে ভিকটিমকে ধারণকৃত ওই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে অন্যান্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর আসামিরা ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভিকটিম বড় বোনকে খুলে বললে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরেরদিন বড় বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ৩০ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন