হাসানুর রহমান তানজিরঃ ‘হাসিনা-এ ডটার’স টেল’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তি জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডকু ড্রামা ফিল্মটি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় একজন সাধারন সংগ্রামী নারীর অসাধারন হয়ে উঠার গল্প তুলে ধরা হয়ছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর জীবনে তার বোন শেখ রেহানার ভূমিকা, দেশ ও স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের নানা ত্যাগের চিত্রও এখানে দেখা গেছে। খুলনার শঙ্খ সিনেমা হল ও লিবার্টি সিনেপ্লেক্স সহ সারাদেশের ৫০টি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে।
মুক্তির পরেই তরুণ প্রজন্ম হুমড়ি খেয়ে পড়েন ছবিটি দেখার জন্য। কারণ তাদের কাছে এটি একটি প্রেরণার গল্প। রাজনীতির ইতিহাস জানার উৎস হিসেবেই ডকুফিল্মটিকে দেখছেন তারা। তাই ছবি দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় প্রতীয়মান হচ্ছে এটিই। শঙ্খ সিনেমা হল ও লিবার্টি সিনেপ্লেক্স সপ্তাহব্যাপী প্রতিদিন ১০টা
৩০মিনিট, ২টা ও ৫টা ২০মিনিট এবং সাড়ে ৯টায় প্রদর্শিত হচ্ছে ৭০ মিনিট ১ সেকেন্ডের ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্রটি।
নগরীর ২৩নং ওয়ার্ড আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ফয়েজুল ইসলাম টিটো আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমি ভাষায় বুঝাতে পারবো না। এককথায় হৃদয়বিদারক। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ জানতে পারবে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা তথ্য। পাশাপাশি ৭৫ পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও আমাদের নেত্রীর উপর যে নির্যাতন হয়েছে তার সম্পর্কে। গ্রামের সকল
মানুষদেরও দেখানো উচিত এই ডকুফিল্মটি।
শঙ্খ সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে এসেছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মাসুদ হোসেন সোহান তিনি বলেন, এই ছবিটির মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত ইতিহাসের
অজানা অনেক অধ্যায়। বাংলার মহিয়াসি নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানার কন্ঠে উঠে এসেছে করুণ কিছু ইতিহাস, সাক্ষ্য। যা বিশ্ববাসী আগে দেখেননি, শোনেননি। আমি মনে করি যেকোনও মানুষ এ চলচ্চিত্রটি দেখলে তার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও তরুণের এটি অবশ্যই দেখা উচিত।
সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা ইসলাম লুনা জানায়, ‘বইয়ে আমরা যে ইতিহাস পড়েছি সেটিই চলচ্চিত্রে দেখলাম। বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনেক কিছু জানলাম। চলচ্চিত্রটি দেখতে পারা আমার জন্য একটি স্মরণীয় ঘটনা।’
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মস্ এর পিপলু খান। সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পক্ষে ডকুফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও নসরুল হামিদ বিপু। চিত্রগ্রহণ
Leave a Reply