প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৭

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় রাজনৈতিক কারণে চাচাতো ভাই মিলন হোসেনের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করার জেরে মুহম্মদ ইকবাল হোসেন (৪১) নামের এক ব্যাক্তিকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের কড়ইতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত ইকবাল বর্তমানে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মুহম্মদ ইকবাল হোসেন নবগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুহম্মদ আলী হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত।
আহত মুহম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ব্যক্তিগত কাজ শেষে রাতে রিকশাযোগে সরপাই বাজার থেকে একাই বাড়ি ফিরছিলাম। পথে আগে থেকেই উৎ পেতে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচজন এসে আমার পথরোধ করে। তাদের মধ্যে দুইজন আমাকে রিকশা থেকে নামতে বলে। নামার সঙ্গে সঙ্গেই আমি কিছু বুঝে উঠতে না পারতেই তারা এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লোহার পাইপ দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেধড়ক মারধর করে। সেই সময় তারা বলতে থাকে তোর ভাইকে রাজনীতি করতে মানা করেছিলাম, সে শুনে নাই, তাই তার হাত কেটে ফেলছি। তোকেও মেরে ফেলব যদি তোর ভাইয়ের হাত কাটার মামলা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিস।
তিনি আরও বলেন, সবার মুখে মাফলার থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্থানীয় যুবক বারেক হোসেন বলেন, গতরাতে চিৎকার শুনে আমরা কয়েকজন ছুটে যাই। গিয়ে দেখি ইকবাল ভাই মাটিতে পড়ে আছে। তিনি বলেন, কয়েকজন তাকে হঠাৎ আক্রমণ করে মারধর করেছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই ও সেইসাথে পরিবারকে খবর দিই।
আহতের চাচাতো ভাই মিলন হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে এলাকায় রাজনীতি করার কারণে সন্ত্রাসীরা আমার বাম হাত কেটে নেয়। তখন থেকেই আমার চাচাতো বড় ভাই ইকবাল বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। আমার ধারণা সে কারণেই তাকে টার্গেট করে মেরে ফেলার উদেশ্যে এমন হামলা করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।